মোস্তাফিজুর রহমান: [২] রোববার (১১জুলাই) সকাল সোয়া আটটায় উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ১০ নম্বর রোডের ১০ নম্বর বাসার নীচ তলার গার্ড রুম থেকে প্লাস্টিকের রশ্মি দ্বারা হাত-পা বাঁধা অবস্থায় নিরাপত্তাকর্মী সুবল চন্দ্র পালের (৪৪) মৃতদেহটি পাওয়া যায়।
[৩] খবর পেয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক এসআই ইউসুফ আলী আইনি প্রক্রিয়া শেষে বিকেলে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন।
[৪] তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যায় অজ্ঞাতনামা কে বা কাহারা বাসার ভিতরে ঢুকিয়ে প্লাস্টিকের রশ্মি দ্বারা হাত-পা বেঁধে ডান কানের নিচে গলায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে ও তদন্ত সাপেক্ষে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে।
[৫] বাসার মালিক হাসান ইমাম বলেন, সুবল চন্দ্র রাত ১১ টা পর্যন্ত ডিউটি করে তার রুমে ঘুমিয়ে পড়ে। ভোরে আমি ফজরের নামাজ পড়তে যাই তখন গেট খোলা ছিল পরে ফিরে এসে গার্ড রুমের বাল্ব জলানো দেখে গার্ড রুমে গিয়ে হাত-পা বাঁধা ও রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেই, পরে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে মৃতদেহ মর্গে পাঠায়।
[৬] তিনি আরো বলেন, সুবল চন্দ্র দের বছর যাবত আমার বাসায় নিরাপত্তা কর্মীর কাজ করতো ১২ হাজার টাকা বেতনে।
[৭] নিহতের ছেলে প্রান্ত দাস জানান, আমার বাবা হাসান ইমামের বাসার দেড় বছর যাবত নিরাপত্তা কর্মীর কাজ করতো । গতকালকে বিকেলে বেতন উঠিয়ে গ্রামের বাড়িতে ৪ হাজার টাকা পাঠিয়ে দিয়েছে। আজ সকালে খবর পাই যে সে অসুস্থ পরে ওই ভবনে এসে তার বিছানায়ও মশারিতে রক্ত দেখতে পাই এর আগে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। পরে মর্গে এসে বাবাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই। আমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ যেন হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে।
[৮] মৃত সুবল নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার লাঠুলিয়া গ্রামের মৃত, হেমচরন চন্দ্র পালের ছেলে। দুই মেয়ে এক ছেলের জনক ছিলেন তিনি। চার ভাই তিন বোনের মধ্যে সে ছিল তৃতীয়। বর্তমানে তিনি হাসান ইমাম খানের বাসা-১০, রোড নং-১০, সেক্টর -০৩, থানা-উত্তরা পশ্চিম বাসার নিরাপত্তা কর্মীর কাজ করতেন এবং সেখানেই থাকতো।
আপনার মতামত লিখুন :