রউফুল আলম: ইন্ড্রাস্ট্রিগুলোতে ইন্সপেকশন হয়। ইন্সপেক্টররা অনেক ত্রুটি খুঁজে পান। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেন না। টাকা পকেটে নিয়ে বাসায় চলে যান! সে টাকায় বাড়ি কিনেন। গাড়ি কিনেন। ছেলে-মেয়েদের ভালো স্কুলে পড়ান। শত কোটি টাকার ইন্ড্রাস্ট্রিতে একশটা অগ্নি নির্বাপক সিলিন্ডার থাকে না। ইমার্জেন্সি ফায়ার এক্সিট থাকে না। কর্মীদের ফায়ার ট্রেনিং দেওয়া হয় না। অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা রেডি করা থাকে না। প্রতিষ্ঠানের মালিকও এগুলো জানেন। কিন্তু ব্যবস্থা নেন না। শত কোটি টাকার প্রতিষ্ঠানে, নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য কয়েক লাখ টাকা খরচ করতে নারাজ। সীমাহীন লোভ যখন গ্রাস করে তখনই এমনটি সম্ভব। রানা প্লাজার ঘটনায় হাজার মানুষ মারা গেলো। তাজরীন গার্মেন্টস পুড়ে শতাধিক মানুষ পুড়লো। এগুলো সবই লোভের পরিণাম। কিন্তু লোভীরা মরেনি। মরেছে হতদরিদ্র কর্মীরা।
দুর্ঘটনা আর অবহেলার জন্য মৃত্য এক নয়। এগুলো দুর্ঘটনা না। এগুলো হলো লোভীর থাবায় মৃত্য। হত্যা। পঞ্চাশজন মানুষ পুড়ে গেলো। যেসব ইন্সপেক্টররা টাকা খেয়ে চুপ ছিলেনÑতারা এই হত্যার জন্য দায়ী। মালিক যদি জেনেও ব্যবস্থা না নিয়ে থাকেন, তিনি এই হত্যার জন্য দায়ী। সেইফটির জন্য কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে, শুধু দুর্ঘটনা বলে বলে বছর বছর এভাবে মানুষ পুড়িয়ে মারছি আমরা। তারপরও এগুলো নিয়ে বেশি কথা না বলাই ভালো। তাতে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। আপাতত ভাবুন, দুনিয়ার সব দেশেই এভাবে আগুনে পুড়ে মানুষ মরে। সুতরাং এগুলো নিয়ে আলোচনা করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার দরকার নেই। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :