সমীরণ রায়: [২] রোববার ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। এ বছর বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘অধিকার ও পছন্দই মূল কথা: প্রজননস্বাস্থ্য ও অধিকার প্রাধান্য পেলে কাক্সিক্ষত জন্মহারে সমাধান মেলে’। যা বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত সময়োপযোগী ও যথার্থ।
[৩] নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রতি বছর বাংলাদেশও বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালন করে আসছে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বছর বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষ্যে তেমন কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়নি। তবে অনলাইনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
[৪] বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এমএসভিএবি (৩য়) প্রকল্পের প্রতিবেদনে 'বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিক ২০২০' প্রকাশনায় জানানো হয়েছে, ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯১ লাখ ১ হাজার। জনসংখ্যা বাড়ার হার ১ দশমিক ৩০, গড় আয়ু ৭২ দশমিক ৮ বছর, নারীদের প্রত্যাশিত গড় আয়ু ৭৪ দশমিক ৫ বছর, পুরুষের গড় আয়ু ৭১ দশমিক ২ বছর।
[৫] দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
[৬] রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাণীতে বলেন, জনসংখ্যাকে পরিণত করতে হবে জনসম্পদে। টেকসই উন্নয়নে পরিকল্পিত ও দক্ষ জনসংখ্যার গুরুত্ব অপরিসীম।
[৭] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার দূরদর্শী সিদ্ধান্তে সংবিধানে জনগণের পুষ্টির স্তর-উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্যের উন্নতিসাধনকে রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক ও প্রাথমিক দায়িত্ব হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক সব ক্ষেত্রেই নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে।