শরীফ শাওন: [২] করোনা মাহামারির বৈশ্বিক বিপর্যয়ে দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় গত বছর ৮ মার্চ। সরকারি হিসেবে দীর্ঘ ১৬ মাসে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৬ হাজার ১৮৯ জন। মহামারি রুখতে ও মৃত্যুর মিছিল থামাতে শেখ হাসিনার বর্তমান সরকার সার্বিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
[৩] চলতি বছর ৫ ফেব্রুয়ারি করোনার টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয়ভাবে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকাদান কার্যক্রম চালুর মাধ্যমে ৮ জুলাই পর্যন্ত ১কোটি ১ লাখ ২৪ হাজার ৩৫১ ডোজ টিকাদান সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে দৈনিক প্রায় ২২ হাজার টিকাদান সম্পন্ন করা হচ্ছে।
[৪] করোনা পরীক্ষায় বর্তমানে সরাদেশে আরটি পিসিআর, জিন এক্সপার্ট এবং র্যাপিড এন্টিজেন মিলিয়ে মোট কোভিড ১৯,৬০৫টি টেস্ট সেন্টার চালু রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সর্বমোট ২,৩৩,৯৫২ আরটি পিসিআর এবং ৭৫ হাজার এন্টিজেন টেস্ট কিট মজুদ রয়েছে। এছাড়াও প্রয়োজনীয় কিট ক্রয়ের কার্যক্রম অব্যাহত রেছেছে সিএমএসডি। মজুদ রয়েছে পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী, যার মধ্যে এন-৯৫ মাস্ক ২৪ লাখ ২০ হাজার ৪০১টি, কেএন-১৫ মাস্ক ১৮ হাজার ১১৪টি, পিপিই ২ লাখ ৫১ হাজার ৮৭৫টি এবং সার্জিক্যাল মাস্ক ৩ লাখ।
[৫] ভ্যাকসিনের মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার মজুদ রয়েছে ১০ হাজার, সিনোফর্মা ২৯ লাখ ৯০ হাজার, মর্ডানা ২৫ লাখ ডোজ। এছাড়াও সরকারি পর্যায়ে ভ্যাকসিন উৎপাদনের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও এসেনসিয়াল ড্রাগ কোম্পানির পক্ষে আমেরিকার ডায়াডিচ কোম্পানির সাথে আলোচনা চলমান রয়েছে। রাশিয়ার উৎপাদিত স্পুটনিক-৫ ও চীনে উৎপাদিত সিনোভ্যাক দেশে উৎপাদনের সম্ভাব্যতার বিষয়ে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
[video width="1920" height="1080" mp4="https://www.amadershomoy.com/bn/wp-content/uploads/2021/07/WhatsApp-Video-2021-07-10-at-18.38.33.mp4"][/video]
আপনার মতামত লিখুন :