মাসুদ আলম : [২] নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুসের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর কেচি গেট খুলেনি কর্তৃপক্ষ। পরে শ্রমিকদের চিৎকার চেচামেচিতে কেচি গেট খুলে দেয়া হয়। ততক্ষণে পুরো কারখানায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের ব্যাপকতা বেড়ে যাওয়ায় অনেকে শ্রমিক আটককা পড়ে যান।
[৩] এছাড়া ছয়তলা কারখানাটির ছাদে ওঠার জন্য দুইটি সিঁড়ি রয়েছে। সিঁড়ি তালাবদ্ধ থাকায় শ্রমিকরা ছাদেও উঠতে পারেনি। চতুর্থ তলা থেকে ছাদে যাওয়ার যে সিঁড়িটি, সেটি ছিলো তালাবন্ধ ছিলো। চতুর্থ তলা থেকে নামার সিঁড়ি খোলা থাকলেও নিচের ভয়াবহ আগুনের কারণে সেই সিঁড়ি দিয়ে নামার কোনো সুযোগ ছিলো না। অনেক শ্রমিক জীবন বাঁচানোর জন্য বিল্ডিং থেকে লাফ দিয়ে নিচে পড়েন।
[৪] শ্রমিকরা অভিযোগ করে বলেন, নিচতলায় বাক্স ও পলিথিন তৈরির কারখানায় আগুন লাগার বিষয়টি ওপরে কর্মরত অনেক শ্রমিকই জানতেন না। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে আগুন গোটা বিল্ডিংয়ে ছড়িয়ে পড়ে। সময় মতো কেচি গেট খুলে দেয়া হতো তাহলে সবাই বেরিয়ে আসতে পারতেন। কর্তৃপক্ষের অবহেলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
[৫] তারা আরও বলেন, ভবনটি কোড না মেনে নির্মিত হয়েছে। উদ্ধার অভিযানও ছিলো ধীরগতিতে। প্রতিটি তলায় একটি করে সেকশন রয়েছে। প্রতিটি সেকশনে একটি করে প্রবেশ ও বের হওয়ার গেট রয়েছে। তিন শিফটে ২৪ ঘণ্টায় কারাখানটিতে বিস্কিট, চকোলেটসহ নানা রকম খাদ্যদ্রব্য তৈরি হয়। মাত্রাতিরিক্ত কেমিক্যাল ব্যবহারও অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহতার জন্য দায়ী। প্রতি শিফটে শ্রমিক ঢোকার পর সেকশনের কেচি গেট বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। শিফট শেষ হওয়ার পর গেট খোলে কর্তৃপক্ষ।
আপনার মতামত লিখুন :