[১] চট্টগ্রামে মাটির মটকার উপর তিনশত বছর দাঁড়িয়ে ছিলো হাজার বর্গফুটের দ্বিতল ভবন
রিয়াজুর রহমান রিয়াজ: [২] চট্টগ্রাম শহরের পাথরঘাটা নজুমিয়া লেইনে কিছু মাটির মটকার উপর তিনশত বছর দাঁড়িয়ে ছিলো হাজার বর্গফুটের দ্বিতল ভবন। মটকার উপর ২২ ইঞ্চি ইট সুকির আস্তর ছিল। ভবনের দেয়ালও ২২ ইঞ্চি পুরো। ঘরের মাঝখানে কুয়া। কুয়াতে এখনো বিশুদ্ধ পানির ধারা।
[৩] বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকেলে চুয়েট ভিসি (প্রাক্তন) ও চট্টগ্রাম ওয়াসার চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর আলম ভবনটি পরিদর্শন করে বলেছেন, ভূমিকম্প ও জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা করতে এই মাটির মটকা পদ্ধতি ব্যবহার করা হতে পারে। তবে তিনশত বছর ধরে হাজার টন ওজনের ভবন মাটির মটকা কিভাবে ধারণ করেছে তা পরীক্ষা ও গবেষণা করে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
[৪] চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্র থেকে এই বিশেষ মটকাগুলো প্রত্নসম্পদ হিসাবে সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে জানিয়ে সংগঠনের চেয়ারম্যান আলীউর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে বলেন- তিনশত বছরের পুরানো মটকাগুলো এখনপ্রত্ন সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হবে। ২০১৫ সালের প্রত্ন আইনে স্থাবর সম্পত্তি ১০০ বছর ও অস্থাবর সম্পত্তি ৭৫ বছরের পুরানো হলে তা প্রত্ন সম্পদ হিসাবে বিবেচিত হবে।
[৫] তিনি বলেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে এগুলো সংরক্ষণ করে আগ্রাবাদ জাতি তাত্বিক যাদুঘরে সংরক্ষণ করতে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
[৬] এছাড়া চট্টগ্রামের বনেদি ব্যবসায়ী শরিয়ত উল্লাহ তিনশত বছর আগে মায়ানমারের রেঙ্গুন (ইয়াঙ্গুন) থেকে সরের জাহাজে এই মাটির মটকা এনে ইট চুন ও সুরকি দিয়ে উক্ত ভবন তৈরি করেছেন বলে শরিয়ত উল্লাহর চতুর্থ প্রজন্ম মোহাম্মদ আবুল মনসুর জানান।