মনিরুল ইসলাম: [২] দেড় বছরে পর আবার আলোর মুখ দেখছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত সারা দেশের ১ হাজার ১০টি দারুল আরকাম ইবতেদায়ি মাদরাসা। ২০১৮ সালে এ প্রকল্প শুরু হলেও ২০১৯ সালে মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এরপর গত দেড় বছর এ প্রকল্প বন্ধ ছিলো।
[৩] এদিকে, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান জানিয়েছেন, গত ৫-৬ দিন আগে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সারসংক্ষেপ পাঠিয়েছিলাম। উনি অনুমোদন করেছেন। আগামী ৫ বছরের জন্য ৫০৭ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর আমাদের কাছে চিঠি এসেছে। আমরা আবার প্ল্যানিংয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। তারা যাচাই-বাছাই করে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। সেখান থেকে অর্থ ছাড় হলেই আমরা কাজ শুরু করে দেব। আগামী আগস্ট থেকে প্রকল্পটি আগের মতো শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রতিমন্ত্রী।
[৪] জানা যায়, দারুল আরকাম ইবতেদায়ি মাদরাসা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তাপ্রসূত এক মহতী উদ্যোগের ফসল। এ মাদরাসা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ধর্মের প্রকৃত শিক্ষা, মর্মবাণী ও চেতনার প্রচার-প্রসার এবং আরবি ভাষা শিক্ষার সুযোগ তৈরি হয়। কোনো সরকার প্রধানের উদ্যোগে একসঙ্গে ১ হাজার ১০টি দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করার ঘটনাও ইতিহাসে বিরল।
[৫] প্রকল্পের তথ্যে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক অভিপ্রায় ও দিক-নির্দেশনায় প্রকৃত ইসলামি চেতনার মর্মালোকে আরবি ধারায় একটি দ্বীনি শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক ২০১৮ শিক্ষাবর্ষে সারা দেশে একযোগে এক হাজার ১০টি দারুল আরকাম ইবতেদায়ি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়।
[৬] ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত ‘মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্প’-এর আওতায় যেখানে প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই, সেখানে দারুল আরকাম ইবতেদায়ি মাদরাসা স্থাপন করা হয়েছে।