আল আমীন: [২] করোনা দূযোর্গে লকডাউনে গৃহবন্দী হয়ে পড়া নগরের নওমহল এলাকার উপেন্দ্র শীলের ছেলে সন্তোষ শীল(৫০) সেলুনে নরসুন্দরে কাজ করে। লকডাউনে সেলুন বন্ধ থাকায় শ্রমিকের কাজের সন্ধানে এদিক-সেদিক ঘুরাঘুরি করছিল।
[৩] এসময়ে পুলিশের এক সদস্যর কাছে খবর পেল জেলা পুলিশের ১০টাকায় ৫০০ টাকার খাদ্য সামগ্রী বিক্রি করছে। লাইনে দাঁড়িয়ে ১০ টাকার বিনিময়ে চাল,ডাল,তেল হলুদ, মরিচ, রশুন, পেয়াজ, লবণসহ ৮ প্রকার খাদ্য সামগ্রী নিয়ে ঘরে ফিরে। স্বামীর হাতে বাজার দেখে স্ত্রীর মুখে হাসি ফুঠে উঠেছে।
[৪] পুলিশের আহবান করোনা দূর্যোগে ঘরে থেকে ‘নিজে নিরাপদ থাকুন, অন্যকে নিরাপদ রাখুন’ " সবার রান্না ঘরে ভাতের গন্ধ ছুটুক " এই শ্লোগান কে সামনে রেখে পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান ১০ টাকার বিনিময়ে খাদ্য সামগ্রী বিক্রির উদ্যোগ নেন। কেউ যেন লজ্জাবোধ না করে এখানে যেকোন শ্রেণী-পেশার মানুষ খাদ্য সামগ্রী ক্রয় করতে পারে।
[৫] খাদ্যসামগ্রী বিক্রির ২য় দিন বৃহস্পতিবার ৮ জুলাই সকালে নগরীর মুকুল নিকেতন স্কুলে দেড়শতাধিক প্যাকেট বিক্রি করা হয়েছে।
[৬] এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান, আলাউদ্দিন, ফালগুনী নন্দী, জেলা ডিবি'র ওসি শাহ কামাল আকন্দ সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ।
আপনার মতামত লিখুন :