শিরোনাম
◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ০৭ জুলাই, ২০২১, ০৮:৪৩ সকাল
আপডেট : ০৭ জুলাই, ২০২১, ০৮:৪৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

করোনায় মৃত্যু: মাইকিং করলেও জানাজায় আসেনি কেউ

ডেস্ক রিপোর্ট: নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে করোনায় মারা যাওয়া দুজনের জানাজার নামাজে এলাকার কেউ উপস্থিত হননি। টিম খোরশেদ তাদের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করে। এ সময় মৃতদের পরিবারের কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

টিম খোরশেদের একজন সদস্য এ সংক্রান্ত একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করলে ভাইরাল হয়ে যায়। সেখানে দেখা যায় বিশাল ঈদগাহ মাঠের মাঝে একটি কফিন। পাশে একজন লোক দাঁড়ানো আর কেউ নেই।

পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি কান্দাপাড়া এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম (৭৫) করোনা আক্রান্ত হয়ে ৩ জুলাই সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড়ের ইস্ট ভিউ হসপিটাল অ্যান্ড ল্যাবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার পরিবারের আহ্বানে টিম খোরশেদের স্বেচ্ছাসেবকরা হাসপাতাল থেকে মরদেহ বুঝে নেন। নেয়া হয় এলাকাতে। সেখানে মাইকিং করা হয়েছিল। কিন্তু পরিবারের দুজন ছাড়া আর কেউ আসেনি।

মরদেহ যখন মাহমুদপুর ঈদগাহ মাঠে রাখা হয় সেখানেও আশপাশে কেউ আসেনি। পাহারা দিতে হয়েছে টিম খোরশেদের লোকজনদেরকে। প্রায় আধাঘণ্টা পর যে বাড়ির মালিক সে বাড়ির নিচে নেয়া হলেও ভাড়াটিয়ারাও আসেনি। অথচ রফিকুল ইসলাম এলাকাতে ধনী লোক হিসেবেই খ্যাত ছিলেন। পরে টিম খোরশেদের লোকজন তাকে কান্দাপাড়া কবরস্থানে নিয়ে দাফন করেন।

অপরদিকে সিদ্ধিরগঞ্জের সৈয়দ পাড়া এলাকার বাসিন্দা সালমা বেগম (৬৫) করোনায় আক্রান্ত হয়ে নারায়ণগঞ্জ করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৪ জুলাই রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ৫ জুলাই সকালে মাসদাইর কবরস্থানে গোসল শেষে এলাকার ঈদগাহ মাঠে তার মরদেহ নেয়া হয়। সেখানে এলাকাতে মাইকিং করা হয়েছিল। কিন্তু পরিবারের পাঁচজন ছাড়া আর কেউ আসেনি।

দাফনে ছিলেন টিম খোরশেদের স্বেচ্ছাসেবক রানা মুজিব, হাফেজ শিব্বির, আনোয়ার হোসেন, সুমন দেওয়ান, মো. শহীদ, শফিউল্লাহ রনি ও নাইম মোল্লা। তারা জানান, শুধু জানাজা নয় বরং দাফনের সময়ও কেউ ছিলেন না। পরিবারের চার-পাঁচজন থাকলেও তারা ছিলেন মরদেহ থেকে অনেক দূরে। ডেইলি বাংলাদেশ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়