শিরোনাম
◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য ◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল ◈ চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা, আসলে কী ঘটছে

প্রকাশিত : ০৬ জুলাই, ২০২১, ১০:০৩ দুপুর
আপডেট : ০৬ জুলাই, ২০২১, ১০:০৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ভারতে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে ভূতুড়ে ধারায় ৬ বছর ধরে হাজারখানেক মামলা! ধমকে কেন্দ্রের ‘ভুল’ স্বীকার

রাশিদুল ইসলাম : [২] শুনানিতে উপস্থিত অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেনুগোপাল বলেন, ‘তথ্য প্রযুক্তি আইনের খসড়ায় এই ধারার উল্লেখ রয়েছে। একমাত্র ফুটনোটে বলা ৬৬-এ ধারাটি বিলোপ হয়েছে।’আইপিসি-তে যে ধারার অস্তি¡ত্ব নেই, গত ৬ বছর ধরে সেই ধারায় এফআইআর-সহ মামলা দায়ের করে চলছে ভারতের পুলিশব্যবস্থা। আর এই বিষয় সুপ্রিম কোর্টের কানে যেতেই বিস্মিত এবং বাকরুদ্ধ শীর্ষ আদালত। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

[৩] ২০১৫ সালে সুপ্রিম কোর্টই তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৬৬-এ ধারাকে বিলোপ করেছে। কিন্তু একটি মানবাধিকার সংগঠনের দায়ের করা মামলায় অভিযোগ, ‘সেই ধারায় গত ৬ বছর ধরে কয়েক হাজার মামলা দায়ের হয়েছে ভারতের একাধিক আদালতে।’ আর এতেই সোমবার শুনানিতে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি আরএফ নরিম্যান, কেএম জোসেফ এবং বিয়ার গাভাইয়ের বেঞ্চ।

[৪] এই ঘটনায় এতটাই বিস্মিত শীর্ষ আদালত যে তারা আবেদনকারী আইনজীবীকেই প্রশ্ন করে বসে। বেঞ্চের প্রশ্ন, ‘আপনারা কি মনে করেন এটা আশ্চর্য এবং বিস্ময়কর? ২০১৫-তে এই ধারা লোপে শ্রেয়া সিঙ্ঘলের রায় রয়েছে। সত্যি অদ্ভুত বিষয়। যা চলছে অসহনীয়!’

[৫] শীর্ষ আদালতে দায়ের করা মামলায় উল্লেখ, ‘২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল সব রাজ্যের পুলিশকে এই বিষয়ে অবগত করতে। তারপরেই হাজার খানেক মামলা এই ধারায় দায়ের হয়েছে। তারপরেই শুনানিতে শীর্ষ আদালত বলেছে, ‘হ্যাঁ আমরা দেখতে পাচ্ছি, কতগুলো মামলা দায়ের হয়েছে। আমরা কিছু করছি।’

[৬] কেন্দ্রের তরফে এদিনের শুনানিতে উপস্থিত অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেনুগোপাল বলেন, ‘তথ্য প্রযুক্তি আইনের খসড়ায় এই ধারার উল্লেখ রয়েছে। একমাত্র ফুটনোটে বলা ৬৬-এ ধারাটি বিলোপ হয়েছে। ভুল হয়ে গিয়েছে আমরা শুধরে নেব।’

[৭] কেন্দ্রের যুক্তি, ‘কোনও থানা যখন মামলা দায়ের করবে, তারা খসড়া পড়বে। ফুটনোট দেখবে না। আমরা যেটা করতে পারি ৬৬-এ-র পাশে ব্র্যাকেট দিয়ে লিখে দিতে পারি ধারাটি বিলোপ করা হয়েছে।’ কেন্দ্রের যুক্তি শুনে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, ‘আপনারা আগামি দুই সপ্তাহের মধ্যে অবস্থান জানান। আমরা নোটিশ জারি করছি। দুই সপ্তাহ পর ফের শুনানি হবে।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়