শিরোনাম
◈ একযোগে এনবিআরের ৫৫৫ কর্মকর্তাকে বদলি ◈ আবারও রেকর্ড গড়ল স্বর্ণের দাম, ভরিতে বেড়েছে ৩ হাজার ৬৭৫ টাকা ◈ ভারতের নেপাল নীতিতে 'রিসেট বাটন' চাপলেন মোদি, শিক্ষা বাংলাদেশের কাছ থেকে ◈ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বিএনপি ◈ প্রথমবারের মতো জাপানের রাজনৈতিক দলের নেতা হবে AI ◈ আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ◈ ঢাকায় চীনের ভিসা অফিস ৮ দিন বন্ধ থাকবে ◈ রাশিয়া-কানাডা থেকে ৩৩২ কোটি টাকার সার কিনছে সরকার ◈ ধামরাইয়ে বিশেষ অভিযানে ৩১লাখ টাকার হেরোইন সহ গ্রেপ্তার ৩।  ◈ হ্যান্ডশেক বিতর্কে ৪৮ ঘণ্টা পর পাকিস্তানের অভিযোগ উড়িয়ে কড়া জবাব দি‌লো ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড

প্রকাশিত : ০৪ জুলাই, ২০২১, ০৮:৫১ রাত
আপডেট : ০৪ জুলাই, ২০২১, ০৮:৫১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘সারারাত চোখোত ঘুম আসে না, এই বুঝি নদীত ভাঙ্গি পড়ম’

ডেস্ক রিপোর্ট : গাইবান্ধায় গত কয়েক দিনে ভারি বর্ষণে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে ভাঙন। এতে কষ্টের মুখে পড়েছেন স্থানীয়রা। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার বিকেল চারটা থেকে রবিবার বিকেল চারটা পর্যন্ত চব্বিশ ঘণ্টায় জেলার তিনটি নদীর পানি বেড়েছে। এরমধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদের ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখঘাট পয়েন্টে ১ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদীর জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ও করতোয়া নদীর পানি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাখালি পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখনও বিপদ সীমার নিচে রয়েছে।  ইত্তেফাক

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের খারজানি ও কুন্দেরপাড়া, ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের কটিয়াভিটা, ভুষিরভিটা, রতনপুর এবং গজারিয়া ইউনিয়নের কাতলামারি, গলনা, জিয়াডাঙ্গা গ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে গত চব্বিশ ঘণ্টায় ১৫টি বাড়ি বিলীন হয়েছে। অপরদিকে যমুনা নদীর ভাঙ্গনে সাঘাটা উপজেলার সাঘাটা ইউনিয়নের মুন্সিরহাট, গোবিন্দি, হাটবাড়ি গ্রামের ১০ ঘরবাড়ি এখন নদী গর্ভে। হুমকির মুখে মুন্সিরহাট, স্কুল ও বাজারসহ ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি।

 

 

 

ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের কটিয়াভিটা গ্রামের গোলাপী বেগম (৫৫) বলেন, নদী ভাঙনের কবলে পড়ে এ পর্যন্ত ২২ বার ঘরবাড়ি ভাঙছি। এখনতো আর যাবার জায়গা নাই। এবার ভাঙলে যামু কই।

তিনি আরও বলেন, ‘সারারাত চোখোত ঘুম আসে না ভয়ে। এই বুঝি ঘরবাড়ি ভাঙ্গি পরে নদীত। তারপরও হামারঘোরের খোঁজ খবর নিবার কেউ আসে না।’ কামারজানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুস ছালাম বলেন, প্রতিদিন ওই দুই গ্রামে চার-পাঁচ ফুট করে এলাকা ভেঙ্গে যাচ্ছে। এভাবে ভাঙতে থাকলে অল্পদিনের মধ্যেই দুটি গ্রাম বিলীন হয়ে যাবে।

সাঘাটা ইউপি চেয়্যারম্যান মোশাররফ হোসেন সুইট জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর ভাঙনে এই ৩টি গ্রামের ১০টি ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। এছাড়া হুমকির মুখে পড়েছে মুন্সিরহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাইস্কুল ও হাটবাজারসহ ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মোখলেছুর রহমান বলেন, পানি বৃদ্ধি ও কমার সময় নদ-নদী সাধারণত ভাঙে। তবে জেলায় যে সব এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে, সেসব এলাকায় প্রতিরক্ষামূলক কাজ করা হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পেলেও এখন আপাতত বড় বন্যা হবার সম্ভাবনা কম।

 

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়