শাহীন খন্দকার: [২] অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, করোনা সংক্রমন হতে নিরাপদ থাকতে প্রতিটি মানুষকে ম্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং চলমান লকডাউনে ‘নিজের ও অপরের জীবন রক্ষার্থে ঘরে থাকতে হবে। তিনি আরো বলেছেন, করোনা সংক্রমন থেকে মানুষকে বাঁচাতে ইতোমধ্যে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকা টিকা, চীনের সিনোফার্মের টিকা সিনোভ্যাক্স, ফাইজারের টিকা বায়োএনটেক বাংলাদেশের মানুষকে দেওয়া হচ্ছে।
[৩] ইতোমধ্যে এক কোটি একলাখ ডোজেরও অধিক টিকা মানুষকে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা প্রাপ্তির কুটনৈতিক তৎপরতা চলছে। দেশেও ভ্যাকসিন উৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাই ভ্যাকসিন নিয়ে আর হতাশা নয়। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় বিনামূল্যে ভ্যাকসিন প্রদান করা সম্ভব হয়েছে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার টিকা প্রদান কার্যক্রমের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি কেন্দ্রে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ প্রদানের কার্যক্রম চলছে।
[৪] আশা করি, আগামী এক-দুই মাসের মধ্যেই চুক্তি অনুযায়ী অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার টিকা পাওয়া যাবে। তখন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার টিকা প্রদানের কার্যক্রম পুরোমাত্রায় শুরু করা যাবে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের প্রথম ভ্যাকসিন হলো মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা এবং প্রয়োজন মতো সাবান দিয়ে হাত ধোয়া ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা। রবিবার ৪ জুলাই বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন।
[৫] এদিকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে ৪ জুলাই ফাইজারের প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ৫২২ জনকে এবং দ্বিতীয় ডোজের (অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকা) টিকা নিয়েছেন ৫৫ জন। এ নিয়ে ৪ জুলাই পর্যন্ত ফাইজারের ১,২৬০ জনসহ প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৪৯,২৬০ জন এবং দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন ৪৭,৯৮৬ জন।
[৬] এছাড়া বেতার ভবনের পিসিআর ল্যাবে এপর্যন্ত ১ লক্ষ ৫৮,৮০৯ জনের কোভিড-১৯ টেস্ট করা হয়েছে। বেতার ভবনের ফিভার ক্লিনিকে ১ লক্ষ ৪,১০৭ জন রোগী চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন। সকাল ৮টা পর্যন্ত ৯৮২০ জন রোগী সেবা নিয়েছেন। ভর্তি আছে ৫,৪৪৯ জন আইসিইউতে ভর্তি আছেন ১৮ জন রোগী, সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ৪,৫২৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ২০ জন। সম্পাদনা: মেহেদী হাসান