নিউজ ডেস্ক: ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আটক অবস্থায় একজন রাজনৈতিক কর্মীর মৃত্যুর পর ফিলিস্তিনিদের মধ্যে তাদের নেতাদের বিরুদ্ধে গভীর অসন্তোষের প্রকাশ দেখা গেছে।
নিজার বানাত নামের এই ফিলিস্তিনিকে তার বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা বাহিনী। আটক থাকা অবস্থায় তাকে যে মারাত্মকভাবে পেটানো হয়েছিল, সেরকম অনেক প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। এই ঘটনায় বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে এবং শত শত মানুষ ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের পদত্যাগ দাবি করে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নিন্দা করে বিক্ষোভকারীরা 'শাসকগোষ্ঠীকে উৎখাত করো' বলে শ্লোগান দেয়। এক দশক আগে আরব বিশ্ব জুড়ে যে গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়েছিল, তখন এই শ্লোগানটিই শোনা যেত।
রামাল্লায় যখন বিক্ষোভ চলছিল, তখন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সাদা পোষাকধারী লোকজন লাঠি এবং ইট-পাটকেল দিয়ে এই বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালায়। রামাল্লা থেকেই ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ তাদের কাজ-কর্ম চালায়।
এ ঘটনায় ক্ষোভ আরও তীব্র হয়েছে এবং ভিন্নমতকে দমন করা হচ্ছে বলে উদ্বেগ বেড়েছে। এ সপ্তাহান্তে আরও বিক্ষোভের আয়োজন করার পরিকল্পনা চলছে।
নিজার বানাতের মৃত্যুর পর জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এ ঘটনার তদন্ত দাবি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, "মত প্রকাশের স্বাধীনতার0 ওপর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ যে বিধিনিষেধ দিয়েছে এবং সুশীল সমাজের কর্মী এবং সংগঠনগুলোকে যে হয়রানি করা হচ্ছে, তা নিয়ে আমাদের গভীর উদ্বেগ রয়েছে।"
নিজার বানাত কিভাবে মারা গেছেন, তা নিয়ে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এখনো পর্যন্ত সরাসরি কিছু বলেনি।
৪৩ বছর বয়স্ক নিজার বানাত ফেসবুকে পোস্ট করা ভিডিওতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কঠোর সমালোচনা করেছিলেন। এই ভিডিওতে তিনি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত লাভের জন্য দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ করেন।
তিনি ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা সহযোগিতা এবং ইসরায়েলের কাছ থেকে প্রায় মেয়াদোত্তীর্ণ হতে যাওয়া কোভিড টিকা পাওয়ার চুক্তিরও ঘোরতর সমালোচক ছিলেন।