শরীফ শাওন: [২] রপ্তানিমুখি তৈরি পোশাক কারখানা মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ জানায়, বিশ্বস্ত সূত্র থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে ডিজনি থেকে এখনও বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।
[৩] ওয়াল্ট ডিজনি সংস্থা, ২০১৩ সালে বাংলাদেশে অগ্নিদুর্ঘটনা ও ভবন ধ্বসের ঘটনায় এদেশ থেকে সোর্সিং করা বন্ধ করে দিয়েছিলো। আন্তর্জাতিক শ্রম মান নিরীক্ষা বিবেচনায় নিয়ে সংস্থাটি তার অনুমোদিত সোর্সিং দেশগুলোর তালিকায় আবারও বাংলাদেশকে অন্তর্ভূক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করেছে।
[৪] বিজিএমইএ সভাপতিফারুক হাসান শিল্পের সার্বিক অগ্রগতি ও রুপান্তর, বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রের সুরক্ষা, সামাজিক মান এবং পরিবেশগত টেকসই হওয়ার ক্ষেত্রে পোশাক শিল্পের অর্জনকে স্বীকৃতি দিয়ে ওয়াল্ট ডিজনি কর্তৃক এই পদক্ষেপ গ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছেন।
[৫] তিনি জানান, আইএলও এর বেটার ওয়ার্ক বাংলাদেশ প্রোগ্রামে অংশ নেয়া কারখানাগুলো বিক্রেতা (ভেন্ডর) হিসেবে স্বীকৃত হবে তখনই যখন কিনা কারখানাগুলোর নির্দিষ্ট সংস্কার মানদন্ড সাথে করে নিরাপন অথবা আরএমজি সাসটেইনিবিলিটি কাউন্সিলে (আরএসসি) অংশগ্রহণের প্রয়োজন হবে।
[৬] বিজিএমইএ বিগত বছরগুলোতে সুরক্ষা সংস্কৃতি ও উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। বিশেষ করে অগ্নি, বৈদ্যুতিক এবং স্থাপত্যবিষয়ক অখন্ডতা সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিপুল বিনিয়োগ এবং কারখানা সংস্কার কার্যক্রম নিবিড়ভাবে ফলো-আপ করেছে। সংগঠনটি জানায়, হংকংভিত্তিক সাপ্লাই চেইন কমপ্লায়েন্স সল্যুশনস প্রোভাইডার, কিউআইএমএ তার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইথিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারিং দেশ হিসেবে স্থান দিয়েছে। ১৪৪টি লীড গ্রীন কারখানা ইউএসজিবিসি থেকে সনদপ্রাপ্ত হয়েছে। আমরা সামাজিক ও সুরক্ষা মান বজায় রাখতে প্রতিশ্রতিবদ্ধ হওয়ার পরেও ২০৩০ সালের মধ্যে জিএইচজি নিঃসরণ ৩০ শতাংশ হ্রাস করার বিষয়ে বিশ্ব অঙ্গীকার এর সাথে জোটবদ্ধ হয়েছি।
আপনার মতামত লিখুন :