লিহান লিমা: [২] বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যখন লকডাউন থেকে বেরিয়ে এসে অর্থনৈতিক কার্যক্রম খুলে দিচ্ছিলো ঠিক তখনই হানা দেয় করোনার দ্রুত সংক্রামক রুপ ডেল্টা ধরণ। দরিদ্র ও টিকা দেয়া হয় নি এমন দেশগুলোতে বাড়তে শুরু করে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুহার এবং নাগরিকদের অধিকাংশকে টিকার আওতায় আনা ধনী দেশগুলোতে সংক্রমণ ও মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ার হার বাড়ে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল
[৩] মে মাসে প্রথম ভারতে এটি ছড়িয়ে পড়ে। এরপর একমাত্র দক্ষিণ আমেরিকা ( এই অঞ্চলের দেশগুলোতে ছড়িয়েছে গামা ভ্যারিয়েন্ট) ব্যতীত বিশ্বের ৮৫টি দেশ এই ধরন শনাক্ত হয়েছে। এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপের দেশগুলো পুনরায় বিধি-নিষেধ আরোপ ও লকডাউনে ফিরতে শুরু করে। ব্রিটেনে এই ধরন ৯৭ শতাংশ নতুন সংক্রমণের জন্য দায়ী। উগান্ডা, দক্ষিণ আফ্রিকা, জাম্বিয়া ও কঙ্গোর হাসপাতালগুলো ভর্তি হয়ে গিয়েছে। ইন্দোনেশিয়া মহামারীর পর এই প্রথমবারের মতো এতো সংক্রমণ দেখছে।
[৪] জাপান যখন সীমিত পরিসরে অলিম্পিক আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলো ঠিক তখনই পুরো টোকিওর মোট সংক্রমণের প্রায় অর্ধেকই এই ধরণের জন্য দায়ী বলে ধরা পড়ে। চীনের কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক পর্যটকদের কোয়ারেন্টাইন করতে ২ লাখ ৫০ হাজার স্কয়ার ফিটের বাসস্থান প্রকল্প হাতে নিয়েছে। বিধি-নিষেধ তুলে দিয়ে আবারো তা আরোপ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া ও ইসরায়েল। ইউরোপে জার্মান কর্তৃপক্ষ চলাচল সীমিত করেছে। ফ্রান্সে নতুন সংক্রমণের ৭৪ শতাংশই ডেল্টা ধরণ।
[৫] জাতিসংঘ বলেছে, মহামারীরর কারণে এ বর্ছও বৈশ্বিক পর্যটন খাত ২.৪ ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষতি গুনতে পারে এবং এর ৬০ শতাংই হবে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে।