অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন: সবাই রাতারাতি বিখ্যাত সাংবাদিক, গবেষক ও সংগীত শিল্পী ইত্যাদি হয়ে যেতে চাচ্ছে। বায়ু থেকে জ্বালানি আবিষ্কার করে ফেলছে। এসব এমন ভুল না, যে ভুল করতে করতে শিখে বড় কিছু হয়ে যাবে বা বড় কিছু আবিষ্কার করে ফেলবে। যে বয়সে গবেষণা শেখার কথা, সেই বয়সে গবেষণার সংখ্যা আর সাইটেশনের পেছনে ছুটতে থাকা কোনো সুস্থ মানসিকতার লক্ষণ না। সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে দেখলে, এগুলোর মধ্যে প্রতারণার বীজ আছে, যা একদিন মহীরুহ হয়ে যেতে পারে। এসব কাজকে উৎসাহ দেওয়া অন্যায়।
আমাদের পদার্থবিজ্ঞানের এক ছাত্র, বিখ্যাত এক নোবেল বিজয়ীর সঙ্গে কাজ করেছে। আমেরিকার বিখ্যাত এক বিশ^বিদ্যালয়ে ৩০ বছর যাবৎ শিক্ষকতা ও গবেষণা করছে। তার সাইটেশন ২০০০-এর মতো। পিএইচডি বা পোস্ট-ডক করছে এরকম আমাদের অনেক তুখোড় ছাত্র আছে যাদের গবেষণাপত্র সংখ্যা সাইটেশন খুবই কম। তারা শিখছে। একদিন ঠিকই অনেক বড় হবে। আমি সব সময় বলি, আমাদের মেধাবী মানুষের অভাব নেই।
অভাবের পরিচর্যার, অভাব সুস্থভাবে বেড়ে উঠার পরিবেশের। যারা এসব করছে তারা নিঃসন্দেহে মেধাবী। কিন্তু তারা তাদের মেধার অপব্যবহার করছে। বড় হওয়ার আগে কসরত করতে হয়, শিখতে হয়, পরিশ্রম করতে হয়, গুরু ধরতে হয়। কেউ কেউ এই পথ না পাড়ি দিয়েও বড় কিছু হয়ে যেতে পারে সেটা ব্যতিক্রম। ফেসবুক থেকে