শিরোনাম
◈ র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে জাস্টিস ডিপার্টমেন্টকে সুপারিশ করা হবে: ডোনাল্ড লু ◈ সালমান এফ রহমানের বাসায় নৈশভোজে ডোনাল্ড লু ◈ সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ◈ ঢাকার ২৬টি হোটেল-রেস্তোরাঁয় পুলিশ সদস্যদের জন্য মূল্য ছাড়  ◈ বনানীর আগে বাসে যাত্রী তুললেই মামলা: ডিএমপি কমিশনার ◈ ‘জেনোসাইড জো’: যেভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বিক্ষোভ বাইডেনের পুনর্নির্বাচনকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে ◈ গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড দেশের ওপর ঋণের বোঝা বাড়াচ্ছে: টিআইবি ◈ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাবেক বাপেক্স এমডির সাক্ষ্য ◈ তাসকিনকে সহ অধিনায়ক করে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল ঘোষণা ◈ আজ ঘরে ফিরবেন এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক

প্রকাশিত : ০২ জুলাই, ২০২১, ০৪:৪৭ দুপুর
আপডেট : ০২ জুলাই, ২০২১, ০৫:২০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মানবপাচারকারীরা কোভিড মহামারী পরিস্থিতিকে তাদের অভিযান বাড়াতে ব্যবহার করছে : ব্লিনকেন

রাশিদ রিয়াজ : কোভিড মহামারী পরিস্থিতি মানবপাচারকারীদের মানুষ শিকার করতে আরো সুযোগ করে দিয়েছে বলে গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। মানুষের আয় হ্রাস, চাকুরী হারানো, কোভিড ভাইরাসের কারণে লোকচক্ষুর আড়ালে যাওয়া, অতিরিক্ত কাজ করতে বাধ্য হওয়া কিংবা অনলাইনে পাঠ্যক্রম পরিচালনায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় মানুষকে আরো বেশি ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে। তাদের জোরপূর্বক শ্রমে বাধ্য করা পাচারকারীদের জন্যে সহজ হয়ে পড়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন বলেন বিভিন্ন দেশের সরকার যখন কোভিড মহামারী মোকাবেলায় নজর দিচ্ছে তখন মানবপাচারকারীরা এ সুযোগ নিচ্ছে। মহামারী পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরো সময় লাগবে এবং আরো অনেক মানুষ অরক্ষিত হয়ে পড়বে।

যুক্তরাষ্ট্রের এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ৩১টি দেশে মানবপাচার রোধে অভিযান চলছে, বিভিন্ন আইনে মানবপাচারকারীদের শাস্তি কার্যকর হচ্ছে সেসব দেশে আগের বছরের তুলনায় এই ঘৃণ্য অপচেষ্টা কিছুটা কমেছে। ১৭টি দেশে এধরনের পাচার আগের চেয়ে হ্রাস পেয়েছে। মানবপাচারকারীরা মানুষকে পাচারের পর জোরপূর্বক কাজে বাধ্য করে। কৃষি বা খনিজ ছাড়াও অনেক সময় অবৈধ কাজে তাদের নিয়োগ করা হয়। এসব তথ্য উঠে এসেছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৬৪৪ পাতার এ প্রতিবেদনে। এছাড়া শিশুদের শ্রমে নিয়োজিত করা ও নারীদের দেহ ব্যবসা বা গৃহকাজে বাধ্য করা পাচারের অন্যতম কাজ। প্রতিবেদনে আরো বলা হয় ১১টি দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে মানুষকে জোরপূর্বক কাজ করতে বাধ্য করা হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে রাশিয়া, চীন ও উত্তর কোরিয়ায় জোরপূর্বক নির্দিষ্ট শ্রম বা উইঘুর মুসলিমদের এমন কাজে বাধ্য করা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে এও বলা হয়েছে অসমতা বা বৈষম্যের কারণে যুক্তরাষ্ট্র সহ বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন অপরাধ ও মানবপাচারের মত কাজ করা সম্ভব হচ্ছে। কারণ যারা পাচার হয় তারা আর্থসামাজিকভাবে অরক্ষিত হয়ে পড়ে। ব্লিনকেন বলেন মানবপাচার রোধ করতে আমরা যদি সচেষ্ট হয়ে থাকি তাহলে এর মূলে যে সব কারণ রয়েছে সেদিকে নজর দিতে হবে। পরিকল্পিত বৈষম্য, দেহ ব্যবসা রোধে ন্যায় সঙ্গত সমাজ গঠন করতে হবে। ২০০০ সালে মানবপাচার রোধে প্রণীত আইনে যে সব দেশ এখনো স্বাক্ষর করেনি বা এ আইন অনুযায়ী মানবপাচার রোধে উদ্যোগ নিচ্ছে না সেসব দেশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কংগ্রেসকে অবরোধ আরোপ বা সহায়তা হ্রাসের জন্যে চাপ দেওয়া উচিত। মানবপাচার রোধে সাবেক মার্কিন এ্যামব্যাসাডর-এ্যাট-লার্জ জন কটন রিচমন্ড বলেন মানবাপাচারকারীদের শাস্তি আগের চেয়ে হ্রাস পাওয়ায় এটা মনে করার কোনো কারণ নেই যে আদতেই এধরনের পাচার কমে এসেছে। কারণ মানবপাচারের অনেক খবরই আমরা পাই না। তিনি বলেন ১ লাখ ৯ হাজার পাচারকৃত মানুষকে চিহ্নিত করা গেলেও অন্তত আড়াইকোটি মানুষ পাচার হয়েছে। এর কারণ হিসেবে অনেক দেশ তাদের বিচার ব্যবস্থায় মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করেনি বলে রিচমন্ড মনে করেন। তিনি বলেন আইনের ফাঁক দিয়ে পাচারকারীরা রেহাই পেয়ে যাচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়