ডেস্ক রিপোর্ট: করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত 'বিধি-নিষেধ' এর প্রথম দিন। বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই) দুপুর আনুমানিক ১২টা।
যাত্রাবাড়ি-কাঁচপুর মহাসড়কে পুলিশ- র্যাব-বিজিবির বেশ কয়েকটি চেকপোস্ট গলে রিকশা-ভ্যানের বাইরে জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া হাতে গোনা কয়েকটি প্রাইভেট চলছে।
এ রকম একটা পরিস্থিতিতে যাত্রাবাড়ি-কাঁচপুর মহাসড়কের চিটাগাং রোড বাস স্টেশন থেকে গ্রামের বাড়ি যেতে গাড়ি খোঁজ করছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আব্দুর রউফ। বাস-প্রাইভেটকারসহ কোন ধরনের গাড়ি না পেয়ে শেষ পর্যন্ত স্ত্রী ও ছেলেকে একটি ব্যাটারি চালিত অটো রিকশায় চেপে বসেন।
আব্দুর রউফের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার যশাতুয়া গ্রামে। তার ছেলে হৃদয় মিয়া সৌদি আরব যাবেন। ছেলেকে বিদায় জানাতে স্ত্রীসহ সপ্তাহ খানেক আগে ঢাকায় এসেছিলেন তিনি। ফ্লাইট সিডিউল নিশ্চিত করতে না পেরে বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই) আবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গ্রামের বাড়ি ফিরে যান তারা।
দুপুরে চিটাগাং রোড থেকে রিকশায় রওনা হওয়ার সময় আব্দুর রউফ বলেন, পথে যদি কোন গাড়ি না পান তাহলে একটা রিকশায় যতটুকু যাওয়া যায় যাবেন। পরবর্তীতে রিকশা বদল করে আরেক রিকশায় এভাবে বাড়ি যাবেন।
রাতে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে আব্দুর রউফ বাংলানিউজকে বলেন, তিনি ও তার পরিবার সুস্থভাবে গ্রামে বাড়ি পৌঁছেছেন। বিকেলে তারা বাড়ি পৌঁছান। তবে দীর্ঘ সময় যাত্রা পথে অনেক কষ্ট হয়েছে। বৃষ্টিতেও কিছুটা ভিজতে হয়েছে।
কিভাবে বাড়ি পৌঁছেছেন জানতে চাইলে আব্দুর রউফ জানান, তারা প্রথমে চিটাগাং রোড থেকে ব্যাটারি চালিত অটো রিকশায় মদনপুর যান। সেখান থেকে আবার অটো রিকশায় নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের বিষ্ণুদী যান। বিষ্ণুদী ফেরিঘাট থেকে নৌকা দিয়ে মেঘনা নদী অপরপাড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্চারামপুর উপজেলার কড়িয়াকান্দি ফেরি ঘাটে উঠেন। সেখান থেকে আবার রিকশায় বেশ খানিকটা পথ পাড়ি দেন। এরপর পর্যন্ত বাকি পথ সিএনজিতে নবীনগর উপজেলার যশাতুয়া গ্রামের বাড়ি পৌঁছান।
আব্দুর রউফ বলেন, সৌদি আরব গামী তার ছেলেকে বিদায় জানাতে ঢাকায় এসেছিলেন। গত কয়েকদিন তারা একটি হোটেলে ছিলেন। হোটেলে থাকা অনেক ব্যয় বহুল। ফ্লাইট সিডিউল নিশ্চিত করতে না পারায় এখন বাড়ি ফিরে যান। সূত্র : বাংলানিউজ