সুজিৎ নন্দী: [২] আগামী মাস থেকে রাজধানীতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের আবাসন ব্যবস্থায় আজিমপুর, মিরপুর, মতিঝিল ও মালিবাগ এলাকায় ৪টি প্রকল্পের কাজ গতমাসে শেষ হয়েছে। প্রতি এক হাজার বর্গফুটের প্রতিটি ফ্ল্যাটে রয়েছে ৩টি বেড রুম, ২/৩টি বাথরুম, ২/৩টি বারান্দা, কিচেন, ড্রয়িং ও ডাইনিং রুমসহ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। গনপূর্ত অধিদফতরের হাতে থাকা আবাসন প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন হচ্ছে।
[৩] গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেন, সরকারি বাসার জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারির বিপুল চাহিদাকে মাথায় রেখে সমস্যা নিরসনে নতুন নতুন উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। প্রতিটি ভবনই তৈরি করা হচ্ছে অত্যাধুনিক ভাবে।
[৪] তিনি আরো বলেন, রাজধানীতে বসবাসরত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মধ্যে আবাসনভোগী হবে প্রায় ২২ শতাংশ। আর আমাদের হাতে থাকা বাকি প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ হলে ২৭ শতাংশ চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে। ধীরে ধীরে আমরা আবাসন সমস্যা সমাধান করতে পারবো।
[৫] আজিমপুর সরকারি কলোনিতে সবচেয়ে বেশি ফ্ল্যাট নির্মিত হয়েছে। সেখানে মোট ১৭টি ২০তলা ভবনে ১ হাজার ২৯২টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮টি ভবনে আটশ’ বর্গফুটের ৬০৮টি এবং ৯টি ২০তলা ভবনে এক হাজার বর্গফুটের ৬৮৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হয়েছে।
[৬] গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার বলেন, পুরনো জরাজীর্ণ ভবনগুলো ভেঙে সেখানে অধিক লোকের বাসস্থান নিশ্চিত করতেই সরকার বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এ কাজের সঙ্গে গণপূর্তের দক্ষ প্রকৌশলীরা সম্পৃক্ত থেকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করেছে।
[৭] মতিঝিলে ৫টি ২০তলা ভবনে মোট ৩৮০টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ৩টি ২০তলা ভবনে চার ইউনিট করে ৮শ’ বর্গফুটের ২২৮টি ও ২টি ২০তলা ভবনে এক হাজার বর্গফুটের ১৫২টি ফ্ল্যাট রয়েছে। এ প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, আমাদের প্রকৌশলীরা দিনরাত পরিশ্রম করে জুনের মধ্যে কাজ শেষ করেছে। এরপরে আবাসন অধিদফতরের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পরবর্তিতে বরাদ্দ দেয়া হবে।
[৮] মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনে মোট ২৮৮টি ফ্ল্যাট নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। সেখানে একটি ১২তলা ভবনে এক হাজার বর্গফুটের ছয় ইউনিটে মোট ৬৬টি, ২টি ১৩তলা ভবনে ৮৫৯ বর্গফুটের ১৫০টি, ১টি ১৩ তলা ভবনে ৬৫০ বর্গফুটের ৭২ ফ্ল্যাট রয়েছে।
[৯] নগরীর মালিবাগ এলাকায় ৪টি ২০তলা ভবনে ৪৫৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ২টি ২০তলা ভবনে ছয় ইউনিট করে মোট ২২৮টি ফ্ল্যাট এবং ২টি ২০তলা ভবনে ৬৫০ বর্গফুটের ২২৮টি ফ্ল্যাট নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে।
[১০] ডিভিশন-৪ নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে আমরা দিনরাত কাজ করেছি। কাজের মানের বিষয়েও আমাদের তীক্ষè নজর ছিল। উন্নত ড্রেনেজ ও স্যুয়ারেজ ট্রিটম্যান্ট প্ল্যান, পর্যাপ্ত বৃক্ষরোপণ, খেলার মাঠ, কমিউনিটি সেন্টার, লাইব্রেরিসহ সব ধরনের নাগরিক সুবিধা রাখা হয়েছে।
[১১] আবাসিকদের নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় কেনাকাটার জন্য কয়েকটি সুপারশপ থাকবে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য ভবন ভেদে একটি হল রুমও আছে।