মোস্তাফিজুর রহমান: [২] বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে মগবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ১০ জনে দাঁড়াল। ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
[৩] তিনি বলেন, নুরুন্নবীর শরীরে ৯০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এছাড়া শরীরে গ্লাসের কাটা যখমও ছিল। পাশাপাশি তার শ্বাসনালীও দগ্ধ হয়েছিল। সবশেষ চিকিৎসাধীন ভোরে তার মৃত্যু হলো। বর্তমানে ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছেন ৩ জন। এর মধ্যে রাসেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। একই ঘটনায় ঢাকা মেডিকেলে আরও তিনজন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
[৪] মৃত নুরুন্নবীর স্ত্রী পপি আক্তার জানান, তাদের বাড়ি রাজবাড়ির পাংশা উপজেলার হাবাসপুর গ্রামে। নুরুন্নবীর বাবার নাম ইসলাম মণ্ডল। তিনি ভ্যান চালাতেন, থাকতেন হাতিরপুল বাটা সিগন্যাল মোড়ে একটি মেসে। পপি এক ছেলে নিয়ে গ্রামে থাকতেন। স্বামীর দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনার পরদিন ঢাকায় আসেন তিনি।
এর আগে বুধবার (৩০ জুন) সকালে দগ্ধ ইমরান হোসেনের (২৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়। তার শরীরেরও ৯০ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
[৫] রোববার (২৭ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিস্ফোরণের বিকট শব্দে ঢাকার মগবাজার ওয়্যারলেস গেট এলাকা কেঁপে ওঠে। বিস্ফোরণের ধাক্কায় আড়ং, বিশাল সেন্টারসহ আশপাশের ডজনখানেক ভবনের কাচ ভেঙে পড়ে। সেদিনই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাতজনের মৃত্যুর খবর দেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
এছাড়া বিস্ফোরণের ৪৪ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে ভবনের কেয়ারটেকার হারুনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স।
আপনার মতামত লিখুন :