স্বপন দেব: [২] মৌলভীবাজার এক শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে মসজিদের মোয়াজ্জিনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুর পিতা বাদী হয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
[৩] নির্যাতনের শিকার শিশুটিকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত মোয়াজ্জিন আরব আলীকে ৩০ জুন তার বাড়ি হবিগঞ্জের উমেদ নগর থেকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
[৪] পুলিশ ও ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার জানায়, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার গয়ঘর গ্রামের ১০ বছরের কন্যা শিশু
সোমবার (২৮ জুন) সকালে প্রতিদিনের মতো গয়ঘর খোজার মসজিদের মক্তবে পড়তে যায়। একপর্যায়ে মসজিদের
মোয়াজ্জিন আরব আলী তাকে মসজিদের পাশের একটি ঘরে নিয়ে যান। সেখানে শিশুটিকে যৌন নির্যাতন করেন। সেই সময় মক্তবের সহপাঠীরা সেখানে উপস্থিত হলে মোয়াজ্জিন শিশুটিকে ছেড়ে দেন এবং বিষয়টি কাউকে না জানাতে শিশুটিকে চকলেট ও বিস্কুটের লোভ দেখান।
[৫] বাড়িতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার শিশু পরিবারের কাছে বিষয়টি জানায়। পরে তার বাবা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সুজন আহমদকে বিষয়টি জানালে তিনি ঐদিন সন্ধ্যায় গয়ঘর মাদ্রাসা ঘরে সালিশ বৈঠকের ব্যবস্থা করেন। বৈঠকে উপস্থিত আমরু মিয়া, আবদাল মিয়াসহ মাতব্বগণ।
[৬] বৈঠকে মোয়াজ্জিন আরব আলীকে চাকরিচ্যুত করে তার বাড়ি হবিগঞ্জের উমেদ নগরে পাঠিয়ে দেন সালিশকারীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে শিশুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় শিশুর পিতা মৌলভীবাজার মডেল থানায় (৩০ জুন) মামলা দায়ের করেন।
[৭] মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. ইয়াসিনুল হক জানান, এই ঘটনায় নারী শিশু নির্যাতন আইনে ছয়জনকে আসামী করে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত মোয়াজ্জিন ছাড়াও শালিশ বৈঠকের নামে যারা বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্ঠা করেন তাদেরকেও আসামী করা হয়েছে।