সুজন কৈরী: [২] রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অনলাইন জুয়ারি সিন্ডিকেটের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের একটি টিম। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আবুনছর মোহাম্মদ আজিজউল্লাহ (৫৩), ফরহাদ রহমান (৩০) ও আজিম হিরা (২৮)।
[৩] সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাতে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের একটি টিম রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে অপরাধে ব্যবহৃত ৮টি মোবাইল ফোনসেট, ২টি ল্যাপটপ ও আড়াই লখারেও বেশি নগদ অর্থসহ বেশকিছু আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।
[৪] সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নাজমুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা একটি সংঘবদ্ধ সাইবার বা অনলাইন জুয়ারি সিন্ডিকেটের সদস্য। চক্রটি নিজেদের পরিচয় গোপন করার জন্য খুবই চতুরতার সঙ্গে বিদেশি নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ ও ছদ্মনামে ফেসবুক ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে জুয়া খেলায় প্রলুব্ধ করত। সিন্ডিকেটটির একটি বিশাল ও সুসংঘবদ্ধ নিজস্ব কর্মীবাহিনী রয়েছে যারা ধাপে ধাপে সুপার এজেন্ট, মাস্টার এজেন্ট, লোকাল এজেন্ট ইত্যাদি পদ ধারণ করে ৯ উইকেটস ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে ৯ উইকেটস ডটকম নামক অনলাইন জুয়ার ওয়েবসাইটে অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিকাশ, নগদ ও ডিবিবিএল এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অবৈধ ই-ট্রান্সজেকশন করে অর্থ হাতিয়ে নিতো।
[৫] তিনি বলেন, চক্রটি ৩ কোটিরও অধিক জুয়ার টাকা মালয়েশিয়ায় পাঠিয়েছে। এছাড়া শুধুমাত্র বাংলাদেশি জুয়াড়িদের টার্গেট করে তারা উইনপিবিইউ ডটকম ও দেশিকথা ডটকম ইত্যাদি ওয়েবসাইট তৈরি করেছিল।
[৬] গ্রেপ্তার আবুনছর আজিজুল্লাহ ৯ উইকেটস ডটকমের বাংলাদেশি সুপার এজেন্ট হিসেবে তার অধীনস্থ মাস্টার এজেন্ট ফরহাদ রহমান, লোকাল এজেন্ট আজিম হীরাসহ অন্যান্য মাস্টার এজেন্ট ও লোকাল এজেন্টদের কাছে নগদ ও ডিবিবিএল এজেন্ট ব্যাংকিং লেনদেনের মাধ্যমে জুয়ার পয়েন্ট বিক্রি করতেন।
[৭] এই বিষয়ে ডিএমপি’র রমনা মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।