দীপু তৌহিদুল: রাতে লেকে হাঁটাহাঁটি শেষে গভীর রাত হয়ে গেলো, প্রায়ই ব্যাটারি রিক্সায় চড়ে বাসায় ফিরেছি। ভালো করে এই রিক্সার পরিবর্তন বা সংস্কারটা লক্ষ্য করেছি। এখনকার নতুন ব্যাটারি রিক্সা আগের চাইতে অনেক বেশি ও যথেষ্ট উন্নত, আর এসব সংস্কারটা করেছে এ দেশেরই বুদ্ধিমান মানুষরাই। মুশকিল হচ্ছে, তাদের কোনো স্বীকৃতি কাগজে-কলমে নেই।
বিশ্বাস না করলে সংস্কার করা ব্যাটারি রিক্সাগুলোর টেকনিক্যাল উন্নয়নটা লক্ষ্য করতে হবে। বুয়েট কিংবা দেশের পরিবহন খাতের মানুষরা এসব ব্যাটারিকে কোনো দিনই স্বীকৃতি দেবে না। কারণ এর উন্নয়নটা অশিক্ষিত মানুষের হাত ধরে ঘটেছে। স্বীকৃতিটা দিলে তাদের সার্টিফিকেটের ওজন কমে যাবে কিংবা কারো গ্রহণ করা অর্থ ফিরিয়ে দিতে হবে। বাংলাদেশের শিক্ষিত সমাজ অনুদার মানসিকতা নিয়ে বড় হয়, তারা কেউ ভালো কিছু আবিষ্কার করে ফেললে সেটাকে সাহায্য না করে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগে। এটা পেশাগত জেলাসি থেকে ঘটে। হিংসা যাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে তারা নিজেরা ভালো কিছু করতে না পারলেও অপরের ভালোটা যাতে বরবাদ হয় সেদিকে তীব্র নজর রাখে।
বর্তমান সময়ের উন্নত ব্যাটারি রিক্সার বিষয়ে আমি পজিটিভ, এই বাহনকে মোটেও বিপজ্জনক মনে করি না, বরং তারা যথেষ্ট আরাম দায়ক। তাদের সিট, পাদানি, টায়ার, স্পোক এবং হ্যান্ড ব্রেকটা এখন বেশ উন্নত হয়েছে। এটাও স্বীকার করি আগেকার ব্যাটারি রিক্সাগুলো খুবই বাজে মানের ছিলো, কিন্তু বর্তমানেরগুলো আগের চাইতে খুবই ভালো মানের তৈরি হয়েছে। দেশীয় প্রযুক্তির এই খাতকে নিরুৎসাহিত করার কোনো মানেই হয় না। যারা করছেন, তাদের মনে বাড়তি কোনো ধান্দা কাজ করছে বলে বিশ্বাস করি। ফেসবুক থেকে