শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ২৮ জুন, ২০২১, ০৪:১১ সকাল
আপডেট : ২৮ জুন, ২০২১, ০৪:৩৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ক্ষুদ্রঋণের গ্রাহকরা সুদের হার কমানোর কোনো সুফল পাচ্ছে না

বণিক বার্তা: ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর (এমএফআই) সংগৃহীত তহবিলের প্রায় ২০ শতাংশই আসে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১২-১৪ শতাংশ সুদহারে তাদের নেয়া ঋণের পরিমাণ ছিল ২০ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা। সরকার ২০২০ সালের এপ্রিলে সুদহার ৯ শতাংশ নির্ধারণ করে দেয়ার পর থেকে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাংক থেকে ৮-৯ শতাংশ হারে তহবিল সংগ্রহ করতে পারছে। যদিও গ্রাহকের কাছ থেকে এনজিওগুলো এখনো ২৪ শতাংশ হারেই সুদ আদায় করছে।

এমএফআই প্রতিষ্ঠানগুলোর তহবিল সংগ্রহের আরেকটি উৎস গ্রাহকের সঞ্চয়। ২০১৯-২০ অর্থবছরে গ্রাহকের সঞ্চয় ছিল প্রায় ৫৪ হাজার ২০৬ কোটি টাকা, যা মোট তহবিলের প্রায় ৪৩ শতাংশ। গ্রাহকের এ অর্থের সুদ দিতে হয় মাত্র ৬ শতাংশ। অর্থাৎ স্বল্প সুদে গ্রাহকের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহ করলেও তা উচ্চহারে অন্য গ্রাহককে ঋণ হিসেবে দিচ্ছে এনজিওগুলো।

বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণের সুদহার কমে যাওয়ায় ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর তহবিল সংগ্রহের খরচ চলতি অর্থবছর অনেকটাই কমে এসেছে। অন্যদিকে গ্রাহকের সঞ্চয়সহ অন্যান্য উৎস থেকে তহবিল সংগ্রহের খরচ প্রকৃতপক্ষে কম থাকার পরও তার সুবিধা থেকে বঞ্চিত সাধারণ গ্রাহক। গ্রাহকদের কাছ থেকে ক্ষুদ্রঋণের সুদহার কাগজে-কলমে ২৪ শতাংশ ধরা হলেও লুক্কায়িত ব্যয় যুক্ত করলে তা ৩০ শতাংশের নিচে নয়। ফলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাংকঋণে সুদহার কমানোর সুফল পৌঁছাচ্ছে না।

ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্যের সমন্বয় এবং দেশে ক্ষুদ্রঋণের প্রসার ও উন্নয়নে কার্যক্রম পরিচালনাকারী ক্রেডিট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরামের (সিডিএফ) তথ্যমতে, ২০১৯-২০ অর্থবছর এমএফআইগুলো ঋণ হিসেবে মোট ১ লাখ ২৫ হাজার ৭০৭ কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে সদস্যদের সঞ্চয় থেকে সংগ্রহ ছিল প্রায় ৪৩ শতাংশ বা প্রায় ৫৪ হাজার ২০৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এ ঋণের সুদহার ৬ শতাংশ। অর্থাৎ সংগৃহীত ঋণের অর্ধেকের বেশির সুদহার মাত্র ৬ শতাংশ। আবার সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন বা নেট উদ্বৃত্ত ছিল প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা বা মোট ঋণের ২৯ দশমিক ৪২ শতাংশ। রিভলভিং ফান্ড হিসেবে পরিচিত এ অর্থায়নের সুদহার শূন্যের কোটায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তহবিল সংগ্রহে এমএফআইয়ের গড় সুদহার ৬-৮ শতাংশের মধ্যেই রয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন বা উদ্বৃত্ত তহবিলের হিসাব বাদ দিলে সুদহার সর্বোচ্চ ৭-১০ শতাংশ হতে পারে। ফলে তহবিল সংগ্রহ বা ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে গড় সুদহার ১০ শতাংশের নিচেই থাকবে। পরিচালন ও অন্যান্য ব্যয় মেটানোর জন্য সুদহারের সঙ্গে গ্রাহকের কাছ থেকে প্রতিষ্ঠানগুলো সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ বেশি হারে সুদ আদায় করতে পারে। ঋণ গ্রহণ ও প্রদানে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর স্প্রেড ৪ শতাংশের নিচেই রয়েছে। অন্যদিকে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে ২৪ শতাংশের বেশি হারে সুদ আদায় করছে। ক্ষুদ্র ঋণগ্রহীতাদের সুদহার কোনোভাবেই ১৫ শতাংশের বেশি হওয়ার সুযোগ নেই বলে মনে করছেন তারা।

সিডিএফের তথ্যমতে, ঋণ বিতরণে এনজিওগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ব্র্যাক। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এমএফআই ঋণের ২৪ দশমিক ৯ শতাংশ বিতরণ করেছে। মোট বিতরণকৃত ঋণের ১৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ আশার, ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ ব্যুরো বাংলাদেশ ও ৩ দশমিক ১২ শতাংশ টিএমএসএসের। এছাড়া মোট ঋণের এসএসএস ২ দশমিক ১১ শতাংশ, সাজেদা ফাউন্ডেশন ১ দশমিক ৫৬ শতাংশ, জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন ১ দশমিক ৫৬ শতাংশ, পিএমইউকে ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ, উদ্দীপন ১ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ ও শক্তি ফাউন্ডেশন শূন্য দশমিক ৯৫ শতাংশ বিতরণ করেছে।

এ বিষয়ে আশার গভর্নিং বডির সদস্য ও আশা ইন্টারন্যাশনালের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মো. এনামুল হক বলেন, ভারতের পরই ক্ষুদ্রঋণে সুদহারে দ্বিতীয় সর্বনিম্নে রয়েছে বাংলাদেশ। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সুদহার যেটা বলে, প্রকৃতপক্ষে তার চেয়ে ৩-৪ শতাংশ বেশি। ব্যাংকের ৫০ কোটি টাকা পরিচালনার জন্য একজন কর্মকর্তা নিয়োজিত থাকলেই হয়। কিন্তু আমাদের ন্যূনতম ১০০ জন নিয়োজিত রাখতে হয়। কেননা একজন ক্ষুদ্রঋণ গ্রাহক একদিন এসে টাকা তুলে নিয়ে গেলেও তার কাছে কমপক্ষে ৫০ বার যেতে হয়। পাশাপাশি সুপারভাইজরি ও পরামর্শক ব্যয় রয়েছে। সব মিলিয়ে আমাদের পোর্টফোলিও হার ১৮-২০ শতাংশের নিচে থাকে না। এর সঙ্গে অন্যান্য খরচ যুক্ত করলে এমএফআইগুলোর সার্ভিস চার্জ ২৪ শতাংশের নিচে যাওয়ার সুযোগ খুব কম। সম্প্রতি বাণিজ্যিক ব্যাংকের সুদহার কমেছে বলা হচ্ছে। যার সুফল এখনো এমএফআই পায়নি। যদিও এর মধ্যে করোনা পরিস্থিতিতে ব্যয় বৃদ্ধি ও বৈদেশিক সাহায্য কমে যাওয়ার কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো ঝুঁকিতে রয়েছে।

সিডিএফের তথ্যমতে, বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের মোট অর্থায়নের ১৬ দশমিক ১৬ শতাংশ বা প্রায় ২০ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। এ ঋণ সংগ্রহের ক্ষেত্রে একসময় ১২-১৪ শতাংশ হারে সুদ পরিশোধ করেছে এমএফআই প্রতিষ্ঠানগুলো। ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে সেই সুদহার নেমে এসেছে ৮-৯ শতাংশে। এর মধ্যে কৃষি খাতের জন্য ৮ শতাংশ হারে ঋণ পাচ্ছে তারা। অন্যদিকে অকৃষি খাতের জন্য ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ। ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে মাত্র ৮-৯ শতাংশ হারে ঋণ সংগ্রহ করছে। অর্থাৎ তাদের ঋণ সংগ্রহের ব্যয় চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে এক-তৃতীয়াংশের বেশি কমেছে। এ অবস্থায় প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থায়ন নেয়ার ক্ষেত্রে সুদহার কমলেও গ্রাহকরা আগের হারেই সুদ পরিশোধ করছেন।

এ বিষয়ে জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুছ ছালাম আজাদ বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা পৌঁছানোর জন্যই ধারাবাহিকভাবে ঋণের সুদহার কমানো হয়েছে। যার কারণে জনতা ব্যাংকসহ রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে ৮-৯ শতাংশ সুদে এনজিওগুলোকে তহবিল দেয়া হচ্ছে। এর পরও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে যদি ২৪ শতাংশের বেশি হারে ঋণ নিতে হয় সেটি অনাকাঙ্ক্ষিত। এটি আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে অন্তরায় হিসেবে কাজ করছে। আমরা চাই সুদহার কমানোর সুফলটা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছাক।

রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওবায়েদ উল্লাহ্ আল মাসুদ বলেন, এনজিওগুলোর উচ্চসুদের ঋণের কারণেই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে স্বল্প সুদে ঋণের সুফল যথাযথভাবে পৌঁছে না। এজন্য আমরা নিজেরাই কৃষি খাতে স্বল্প সুদে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ বৃদ্ধি করেছি। এরই মধ্যে দুগ্ধ খামারি, আমদানিনির্ভর শস্য বিশেষ করে ডাল ও মসলাজাতীয় পণ্যের আবাদ বাড়াতে সহজ শর্তে নিম্ন সুদহারে সরাসরি কৃষকের হাতে ঋণ দেয়া হচ্ছে। রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে উৎপাদনমুখী কার্যক্রমে নিয়োজিত করছে।

সিডিএফের তথ্যমতে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানগুলো পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) থেকে ৫ হাজার ৭৩৪ কোটি বা মোট ঋণের প্রায় ৫ শতাংশ অর্থায়ন করে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠান। পিকেএসএফ থেকে মূলত ৩ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশ হারে ঋণ নেয় এমএফআই। অনেক ক্ষেত্রে সুদহার ১ শতাংশের নিচে থাকে। স্থানীয় এমএফআই থেকে ১৩২ কোটি টাকা, অপ্রাতিষ্ঠানিক উৎস থেকে ৩১৪ কোটি টাকা ঋণ নেয় এমএফআই প্রতিষ্ঠানগুলো। পাশাপাশি অন্যান্য উৎস থেকে ঋণ নেয় প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা। এটি মোট অর্থায়নের প্রায় ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। মূলত এ তিনটি উৎস থেকে উচ্চহারে সুদ দিতে হয়। যদিও গড় সুদহার ১০ শতাংশের বেশি নয়।

এ বিষয়ে সিডিএফ নির্বাহী পরিচালক মো. আবদুল আউয়াল বলেন, গ্রাহকদের কাছ থেকে যে হারে সুদ আদায় করা হচ্ছে, তা বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় কম। তাছাড়া মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) যেটা নির্ধারণ করে দিয়েছে, তার বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে গ্রাহকদের কাছ থেকে সুদহার আরো কমানোর সুযোগ রয়েছে। সেক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত উন্নয়ন প্রয়োজন। ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী শীর্ষ ৫-১০ প্রতিষ্ঠান নিয়মমাফিক স্বল্প সুদে ও ন্যূনতম জামানতে ঋণ পাচ্ছে। কিন্তু মাঝারি ও ছোটদের ক্ষেত্রে ব্যাংক সুদহার ২০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাচ্ছে। কেননা নিয়মিত সুদহারের সঙ্গে বেশকিছু লুক্কায়িত ব্যয় যুক্ত হয়। সরকারি ব্যাংকগুলো নিয়ম মানলেও বেসরকারি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে পরিস্থিতি বেশ খারাপ। ফলে প্রকৃতপক্ষে তাদের অর্থায়নের খরচ খুব বেশি কমে না। ফলে এমএফআই প্রতিষ্ঠানগুলো সুদহার কমাতে পারছে না।

এমআরএর তথ্যমতে, দেশে এমআরএ তালিকাভুক্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান ৭২৪টি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ক্ষুদ্রঋণ খাতের মাধ্যমে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ৪০ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা বিতরণ হয় এমআরএ সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। এছাড়া গ্রামীণ ব্যাংক ২৫ হাজার ১৩৭ কোটি টাকা, সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও দপ্তর থেকে ১ হাজার ৮৭৬ কোটি এবং সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক থেকে ২ হাজার ২৯৪ কোটি টাকা। ক্ষুদ্রঋণ খাতে মোট সদস্য রয়েছে ৪ কোটি ২৯ লাখ জন। যার মধ্যে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ঋণ গ্রহণ করেছে ৩ কোটি ৫৩ লাখ ৯০ হাজার জন।

এ বিষয়ে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে এমআরএ যে সুদহার নির্ধারণ করে দিয়েছে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সেটার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। কেননা তারা সুদহার বা সার্ভিস চার্জ নির্ধারণের ক্ষেত্রে ঋণ তহবিল সংগ্রহের সুদহারের পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক প্রশাসনিক ব্যয়, সংগ্রহ ও বিতরণ ব্যয় ছাড়াও বেশকিছু বিষয়কে বিবেচনায় নেয়। তবে মানব মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় পিকেএসএফ তার সহযোগী সংস্থাগুলোয় নিম্ন সুদহার বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করেছে। বিশেষ মানবগোষ্ঠী বা অঞ্চলে সুদহার ১ শতাংশের নিচে নিয়ে এসেছে পিকেএসএফ। আবার এন্টারপ্রাইজ ঋণের ক্ষেত্রে সুদহার ১৮ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এখন আর ২৪ শতাংশ সুদ দিতে হয় না। কয়েক মাস আগে থেকে চালু হওয়া এ সুদহারে সুবিধা পাবেন ১৮ লাখ উদ্যোক্তা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়