লিহান লিমা: [২] মানবাধিকার ও নাগরিক অধিকার লঙ্ঘনের খারাপ রেকর্ড থাকা দুই-তৃতীয়াংশ দেশ ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে গত এক দশকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত অস্ত্র কিনেছে। গার্ডিয়ান
[৩] ব্রিটিশ সরকারের তহবিলে গঠিত মানবাধিকার গোষ্ঠি ‘ফ্রিডম হাউস’ রাজনৈতিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য যে ৫৩টি দেশকে ‘খারাপ তালিকাভূক্ত’ করেছে, তার মধ্যে ৩৯টি দেশে ২০১১-২০২০ সালের মধ্যে ১৬.৮ বিলিয়ন পাউন্ডের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করেছে ব্রিটিশ সরকার।
[৪] লন্ডন ভিত্তিক সংস্থা ‘ক্যাম্পেইন অ্যাগেনিস্ট আর্মস ট্রেড (চ্যাট) এর তদন্তে উঠে আসে, ব্রিটেনের পররাষ্ট্রদপ্তর যে সময়ে নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশকে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য পর্যবেক্ষণ তালিকাভূক্ত’ করেছে, একই সময়ে ওই দেশগুলোর কাছেই ১১.৮ বিলিয়ন পাউন্ডের অস্ত্র বিক্রি করেছে সরকার। এর মধ্যেই দুই তৃতীয়াংশ দেশ-৩০টির মধ্যে ২০টি- ব্রিটিশ সরকারের ‘নিপীড়নকারী শাসক’ এর তালিকায় থেকেও ব্রিটেনের সামরিক সরঞ্জাম পেয়েছে।
[৫] ‘ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড’ তদন্ত করে দেখেছে, ব্রিটেনের অস্ত্র রপ্তানির মূল বাজার ৯টি দেশের মধ্যে অধিকাংশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের মারাত্মক খারাপ রেকর্ড হয়েছে। দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে মিশর, বাহরাইন, কাতার, সৌদিআরব, থাইল্যান্ড ও তুরস্ক।
[৬] ইতোমধ্যেই ব্রিটিশ সরকার স্বীকার করেছে, সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ইয়ামেনে ব্রিটিশ কোম্পানির তৈরিকৃত অস্ত্র ব্যবহার করেছে এবং মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটির যুদ্ধবিমানে ব্যবহৃত বোমার অর্ধেকই ব্রিটেনের সরবরাহকৃত।
[৭] চ্যাট এর অ্যান্ড্রু স্মিথ বলেন, ইয়ামেনের বিধ্বংসী যুদ্ধসহ বিশ্বের বিভিন্ন সংঘর্ষপূর্ণ অঞ্চলে ব্রিটেনের অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে। যখনই কোথাও দমন-নির্যাতন-সংঘর্ষ হয় তার থেকে লাভবান হয় অস্ত্র কোম্পানিগুলো, আর সরকারের জটিল নীতি তাদের সহায়তা করে।’ তিনি আরো বলেন, ‘এই অস্ত্রগুলো যাচ্ছে একনায়ক ও মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী স্বৈরশাসকদের কাছে। এটি কোনো দুর্ঘটনা নয়। বরিস জনসন ও তার সহকর্মীদের প্রত্যক্ষ সমর্থন ব্যতীত এটি কখনোই সম্ভব হতো না।’