শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ২৬ জুন, ২০২১, ০১:২৬ দুপুর
আপডেট : ২৬ জুন, ২০২১, ০৪:২৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] থানায় পুলিশের মামলা নিতে অনীহা, ফেসবুকে ঘটনা ভাইরাল হলে তৎপর হয়

মিনহাজুল আবেদীন: [২] দেশে কোনো অপরাধের ঘটনা নিয়ে যখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয় তখন পুলিশ তৎপর হয়ে উঠে। অনেক সময় দেখা যায়, ভিকটিম থানায় গিয়ে মামলা করতে চাইলেও পুলিশ মামলা নেয় না। কিন্তু বিষয়টি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তখন পুলিশও তৎপর হয়।

[৩] অভিযোগকারীরা বলছে, ব্যক্তি বিশেষের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে পুলিশের আচরণ।

[৪] পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি থানায় পুলিশের ওপর রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে। স্থানীয় ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দ্বারা বেশিরভাগ সময় প্রভাবিত হয় পুলিশ। ফলে মামলা গ্রহণ করা কিংবা না করার বিষয়টিও অপরাধের ধরণ বিবেচনা করে করা হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে।

[৫] শুক্রবার বিবিসি বাংলায় টাঙ্গাইলে অবস্থিত মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি এ্যান্ড পুলিশ সায়েন্সের শিক্ষক ও গবেষক সুব্রত ব্যানার্জি বলেন, অনেক সময় দেখা যায়, পুলিশের কাছে ভিকটিম কিংবা তার পরিবারের রাজনৈতিক ক্ষমতা এবং সামাজিক প্রভাব একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে কাজ করে। কেউ অপরাধের শিকার হয়ে থানায় মামলা করতে গেলে সবাই যে একরকম আচরণ পায় না সেটি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও মাঝে মধ্যে স্বীকার করেন।

[৬] তিনি বলেন, থানায় মামলা কম নিলে সে এলাকায় অপরাধ কম হচ্ছে বলে দেখানো যায়। আরেকটা বিষয় হচ্ছে, পুলিশ যখন মামলা নেয় তখন সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত শুরু করতে হয়। এক পর্যায়ে মামলার চার্জশিট অথবা ফাইনাল রিপোর্ট দিতে হয়। এটা কোর্টে যায়, হাজিরা দিতে হয়। এই বিষয়গুলোকে এড়ানোর জন্য পুলিশ অনেক ক্ষেত্রে মামলা না নিয়ে সালিশ ব্যবস্থার মধ্যে যায়। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো ঘটনা নিয়ে যখন শোরগোল হয় তখন পুলিশ অনেক সময় বিষয়টিকে উপেক্ষা করতে পারে না।

[৭] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক কাবেরী গায়েন বলেন, ১৯৯০এর দশকে আলোচিত রীমা হত্যাকাÐের বিচার নিয়ে তৎকালীন সংবাদ মাধ্যম যদি নজর না রাখতো তাহলে অপরাধীর সাজা হতো না।

[৮] তিনি বলেন, যেসব ঘটনায় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার জন্য প্রচুর জনমতের প্রয়োজন হয়। রীমা হত্যা মামলার সময় সাংবাদিকরা যদি একজোট হয়ে জনমত গঠন না করতো, তাহলে মুনীরের বিচার ঠিকমতো হতো কিনা সন্দেহ ছিলো। এখন সেই প্ল্যাটফর্ম পাল্টেছে।

[৯] তিনি আরও বলেন, সামাজিক মাধ্যমে যে শোরগোল ওঠে এর ফলে ক্ষেত্র বিশেষে প্রান্তিক মানুষ কিছু প্রতিকার পায়। তবে উদ্বেগের জায়গা হলো যখন পুলিশ প্রবল জনমতের মুখে ক্ষেত্র বিশেষ তৎপর হয়, তখন অন্যান্য ঘটনাগুলোর যে স্বাভাবিক নজর পাওয়ায় কথা সেগুলো আর পায় না।

[১০] এ বিষয়ে সাবেক পুলিশ প্রধান নুরুল হুদা বলেন, পুলিশকে অগ্রাধিকার নির্ণয় করে কাজ করতে হয়। সোশ্যাল মিডিয়াতে ওইসব বিষয় আসে যেগুলোতে জনগণের উৎকণ্ঠা আছে। এগুলো সমাধানের জন্য যদি পুলিশ বেশি তৎপর হয়, তার মধ্যে আমি ক্ষতিকর কিছু দেখি না। বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করে পুলিশকে অগ্রাধিকার নির্ণয় করতে হয়।

[১১] তিনি আরও বলেন, পুলিশকে তথ্য প্রমাণ এবং সাক্ষীর ভিত্তিতে তদন্ত করতে হয়। অন্যথায় আদালতে সেটি গ্রহণযোগ্য হবে না। সম্পাদনা: মেহেদী হাসান

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়