ফরিদুল মোস্তফা খান: [২] কক্সবাজারের চকরিয়ায় ১২ বছরের শিশু ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত প্রধান আসামি ইউনুছকে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার আমিরাবাদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
[৩] বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব-১৫ এর একটি টিম এ অভিযান চালায়। তাকে চকরিয়া থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে র্যাব। এ নিয়ে মামলার দুই অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে গত (১৩ জুন) গ্রেপ্তার করা হয় রোকসানা আকতার নামে এক নারীকে। ধর্ষণের শিকার হওয়ার আগে শিশুটিকে পানির সাথে নেশাদ্রব্য খাইয়ে অচেতন করার অভিযোগ উঠে ওই নারীর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে আজ শুক্রবার সকালে র্যাব-১৫ এর কক্সবাজারস্থ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
[৪] র্যাব-১৫ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া এন্ড অপারেশন্স) আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী জানান, গত ২ জুন চকরিয়ার
খুটাখালী ইউনিয়নের গর্জনতলী এলাকায় বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা বলে শিশুটিকে বাড়িতে নিয়ে যায় রোকসানা আকতার। এরপর পানির সাথে নেশাদ্রব্য পান করিয়ে শিশুটি অচেতন হলে তাকে পাশের রুমে শুইয়ে রাখে। পরে রোকসানা ইউনুছকে খবর দেয় এবং ইউনুছ শিশুটিকে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে শিশুটি আবার অজ্ঞান হয়ে গেলে তারা শিশুটিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। শিশুর পরিবার অজ্ঞান হওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তারা সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হয়। এক পর্যায়ে পরিবারের লোকজন শিশুকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করালে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানায় শিশুটি ধর্ষিত হয়েছে।
[৫] এ ঘটনায় ৭ জুন চকরিয়া থানায় একটি মামলা হয়। এরপর থেকে র্যাব ঘটনাটির সত্যতা যাচাই করে অভিযুক্তদের ধরতে ব্যাপক তৎপরতা চালায়। সর্বশেষ আমিরাবাদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় প্রধান আসামি ইউনুছকে। তিনি জানান, গ্রেপ্তার ইউনুছকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চকরিয়া থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
সম্পাদনা: মারুফ হাসান