আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] বৃহস্পতিবার ইউনাইটেড নেশনস অফিস ফর দ্য কো-অর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্সের (ওসিএইচএ) এক প্রতিবেদনে তথ্য জানানো হয়েছে। এসব মানুষের খাবার, আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি তাদের জন্য মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা, নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন প্রাপ্তির সুবিধা নিশ্চিত করা জরুরি। একই সঙ্গে তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। মানসিক ধাক্কা সামলানোর জন্য তাদের সহায়তা নিয়ে পাশে দাঁড়াতে হবে, এমনটাই মনে করছে ওসিএইচএ।রয়টার্স
[৩] সংস্থাটি জানিয়েছে, মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুতদের জন্য ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় বেশ অপ্রতুল। রক্তক্ষয়ী সংঘাত ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে অনেক জায়গায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। সিবিএস
[৪] কারেন রাজ্যে আগে থেকেই স্থানীয় স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলোর সঙ্গে মিয়ানমার সরকারের বিরোধ ছিল। সেনা অভ্যুত্থানের পরে তা রক্তক্ষয়ী সংঘাতে রূপ নিয়েছে। এসব সংঘাতের জেরে কারেন রাজ্য থেকে ১ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জানিয়েছে ওসিএইচএ। গত মাসে এ রাজ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ১ লাখ ৩ হাজার মানুষ।
[৫] একইভাবে ভারতের সীমান্তসংলগ্ন মিয়ানমারের প্রত্যন্ত রাজ্য শিন থেকেও বাস্তুচ্যুত হয়েছে ২০ হাজারের বেশি মানুষ। সেনাবাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় সংখ্যালঘু নৃগোষ্ঠীর সশস্ত্র সংগঠনগুলোর উত্তরাঞ্চলীয় কাচিন ও শান রাজ্যের হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।