রাশিদ রিয়াজ : ভ্রমণ শিল্পকে বাঁচাতে ব্রিটেনে বৈমানিক, এয়ার হোস্টেস ও ক্রু’রা এককাতারে প্লাকার্ড হাতে দাঁড়ালেন। ওয়েস্টমিনিস্টারে হাউস অব পার্লামেন্টের সামনে তাদের দাবি ছিল কোভিড মহামারীর কারণে বন্ধ আকাশ ফের খুলে দাও। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর আগে ভ্রমণ শিল্পের কর্মীরা এ খাতকে কোয়ারেন্টাইন ফ্রি সবুজ তালিকাভুক্ত করার দাবি জানান। তবে বৈমানিক, এয়ার হোস্টেজ ও ক্রু’দে সংখ্যা প্রায় ৪শ ছিল। এমনকি তাদের সঙ্গে যোগ দেন সিনিয়র কনজারভেটিভ এমপি’রা। এদের মধ্যে স্যার আয়ান ডানকান স্মিথ, স্যার গ্রাহাম ব্রাডি, সাবেক মন্ত্রী স্টিভ বেকার, ট্রান্সপোর্ট কমিটি চেয়ারম্যান হুও মেরিম্যান প্রমুখ। ছিলেন এয়ারলাইন্স মালিকরাও। ডেইলি মেইল
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কাছে দাবিতে তারা দুটি কোভিড ভ্যাকসিন দিয়েছেন এমন ব্রিটিশ নাগরিকদের ভ্রমণ সহজ করার পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানান। তারা বলেন প্রচুর সংখ্যক এমনিতে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এবং লকডাউন শিথিল না করা হলে আরো অনেক কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। এক বছরের বেশি সময় ধরে বিমানের বৈমানিক ও কেবিন ক্রুরা বসে আছেন এবং তারা বলেন অস্থিরতার চরম সীমায় তারা পৌঁছে গেছেন। একই ধরনের দাবি উঠেছে স্কটিশ ও নর্দান আয়ারল্যান্ড লবি, ব্রিস্টল ও ম্যানচেষ্টার বিমানবন্দরে। টুই ট্রাভেল কোম্পানির বৈমানিক ৫৬ বছরের রিচার্ড ম্যান বলেন এভিয়েশন শিল্পে এর আগে এত বড় সংকট আর আসেনি। প্রত্যেকেই তার জীবনযাত্রা নিয়ে শঙ্কিত। ভ্রমণ শিল্পকে চালু করার ক্ষেত্রে তেমন কোনো বাধা নেই। যদি তা থাকে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। কারণ কোভিড সংক্রমণ অনেক নিম্ন হারে রয়েছে।
ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রি গ্রুপ আবটা’র সিনিয়র কর্মকর্তা মার্ক টানজার বলেন, আমাদের অনেকেই বেঁচে থাকার তাগিদে নতুন চাকরি নিতে বাধ্য হচ্ছে, কল সেন্টারে কাজ করছে ও অ্যামাজনের ট্রাক চালাচ্ছে। এটি সত্যিই হৃদয় বিদারক। এভাবে দশ লাখের বেশি চাকরি বন্ধ হয়ে আছে। মানুষের স্বাধীনতা বিপন্ন হয়ে পড়ছে।