নিজস্ব প্রতিবেদক : [২] মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে রেলিগেশন রাউন্ডের ম্যাচে ওল্ড ডিওএইচএস স্পোর্টস ক্লাবকে বৃষ্টি আইনে ৬ উইকেটে হারিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে টিকে গেলো লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ, অলরাউন্ডিং পারফর্মেন্স করেছেন রূপগঞ্জের অধিনায়ক নাঈম ইসলাম।
[৩] ম্যাচটি মাঠে গড়ানোর আগেই আলোচনার জন্ম দেয়, আম্পায়ারিংয়ে পক্ষপাতিত্বের শঙ্কায় বিকেএসপি থেকে ম্যাচটিকে মিরপুরে নেওয়ার দাবি জানিয়ে সিসিডিএমকে আনুষ্ঠানিক ভাবে চিঠি দেয় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। তাদের দাবি মেনে নিয়ে ম্যাচটি মিরপুরে আয়োজনের পাশাপাশি টিভিতে সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করে সিসিডিএম, কোন বিতর্ক ছাড়াই আজ সেই আলোচিত ম্যাচটি সম্পন্ন হলো।
[৪] বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ১৮ ওভারে ১২২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দেখেশুনে শুরু করেন লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের দুই ওপেনার আজমির আহমেদ ও জাকের আলী অনিক। ৮ রান করে জাকেরের বিদায়ের পর ফিরে যান ২০ রান করা আজমিরও, দ্রুত ২ উইকেট হারালেও সাব্বির রহমান ও মেহেদি মারুফের ব্যাটে জয়ের পথে এগিয়ে যায় রূপগঞ্জ।
[৫] ০ রানের ব্যবধানে সাব্বির রহমান ও মেহেদি মারুফের বিদায়ে ম্যাচে নাটকীয়তার সম্ভাবনা তৈরি হয়, তবে নাঈম ইসলামের ১৪ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ২৭ রানের ঝড়ো ইনিংসে ৫ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটের জয় পায় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। রেলিগেশন রাউন্ডে ১ ম্যাচ খেলে ১ জয় নিয়ে প্রিমিয়ার লিগে জায়গা ধরে রাখলো দলটি, অন্যদিকে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের পাশাপাশি প্রথম বিভাগে নেমে গেলো ওল্ড ডিওএইচএস স্পোর্টস ক্লাব।
[৬] এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে আগের ম্যাচের নায়ক রাকিন আহমেদ দলীয় ১২ রানে ফেরার পর মন্থরগতিতে এগোতে থাকে ওল্ড ডিওএইচএস স্পোর্টস ক্লাবের ইনিংস। এর মাঝে বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে যায় খেলা, কিছু সময় বন্ধ থাকার পর আবারও খেলা শুরু হলে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আসে ১৮ ওভারে।
[৭] ম্যাচের পরিস্থিতির দাবী মিটিয়ে চালিয়ে খেলতে থাকেন আনিসুল ইসলাম ইমন ও মাহমুদুল হাসান জয়, দ্বিতীয় উইকেটে দুজনে ৫৮ রান যোগ করেন। ৩১ বলে ১ ছক্কায় টি-টোয়েন্টির স্বভাববিরুদ্ধ ব্যাটিংয়ে ২০ রান করে আউট হন জয়, তবে এবারের টুর্নামেন্টে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন ইমন।
[৮] রূপগঞ্জ পেসার হোসেন আলীর বলে আউট হওয়ার আগে ৩৯ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৫১ রান করেন আনিসুল ইসলাম ইমন, ১৫ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে শঙ্কায় পড়ে ওল্ড ডিওএইচএস স্পোর্টস ক্লাব। তবে শেষ দিকে আলিস আল ইসলামের দৃঢ়তায় নির্ধারিত ১৮ ওভারে ৬ উইকেটে ১১৭ রানের সংগ্রহ পায় ওল্ড ডিওএইচএস, আলিস ১৬ বলে ২ চারে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন।