বিশ্বজিৎ দত্ত: [২] ভারতের ৬৫০টি জেলায় একযোগে এই উৎসবটি দেশটির বিরোধী দল কংগ্রেস উদযাপন করবে বলে জানিয়েছে দৈনিক হিন্দু।
[৩] রিপোর্টে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও পাকিস্তানের পরাজয় এ নিয়ে বিজেপির নানা ধরনের প্রোপাগণ্ডার বিরুদ্ধে সঠিক ইতিহাস ভারতের জনগণের সামানে তুলে ধরার জন্যই কংগ্রেস এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে উপস্থাপন করা হবে ইন্দিরা গান্ধীকে। তিনি যেভাবে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন সমস্যা কাটিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিকামি জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন এই বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্ব পাবে।
[৪] অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পত্রে ছাপানো হবে, রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানি সেনাবহিনীর বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণের চিত্রটি। প্রত্যেক জেলা অনুষ্ঠানে থাকবে তথ্যচিত্র প্রদর্শনি, আলোচনা সভা সেই সময়কার সামরিক নেতাদের স্বংবর্ধনা।
[৫] ভারতের সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী একেএস এনটোনিকে প্রধান করে অনুষ্ঠাণ উদযাপন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়াও কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীঁ অনুষ্ঠান উদযাপনের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটিও গঠন করেছেন। এই কমিটিতে রয়েছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং, মহারাষ্ট্রের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী পৃথিরাজ চৌহান, সাবেক স্পিকার মীরা কুমার প্রমুখ।
[৬] বাংলাদশের স্বাধীনতার ৫০ বছর ও বঙ্গবন্ধুর শত জন্মবার্ষিকি পালন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। কিন্তু করোনার কারণে তার বাংলাদেশের অনুষ্ঠানে আসা সম্ভব হয়নি। তবে ভারতে কোভিড পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেই কংগ্রেস ভারতে অনুষ্ঠানটি পালন করবে বলে পত্রিকাটি দাবি করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :