লিহান লিমা: [২] গত বুধবার হাঙ্গেরির ক্ষমতাসীন ফিদেজ পার্টি নতুন এলজিবিটি বিরোধী আইন পাশ করে। এই আইনে অনুর্ধ্ব১৮ বয়সীদের মধ্যে ‘সমকামীতা বা লিঙ্গ পরিবর্তন’ বিষয়ক প্রচারণা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২০২২ সালের নির্বাচনের পূর্বে রক্ষণশীলদের সমর্থন কাড়তে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান লিঙ্গ রুপান্তরের ওপর নিষেধাজ্ঞারোপ করেন এবং সমকামী দম্পতিদের সন্তান দত্তক নেয়া নিষিদ্ধ করেন। রয়টার্স
[৩] হাঙ্গেরির প্রকাশকদের প্রতিনিধিত্বকারী সমিতি বলছে, মঙ্গলবার পাশ হওয়া পেডোফেলিয়া (শিশুযৌনকাম) আইনে নিষেধাজ্ঞার বিষয়গুলো স্পষ্ট নয়। হাঙ্গেরিয়ান পাবলিশার্স এন্ড বুকসেলার্স অ্যাসোসিয়েশন (এমকেকেই) জানায়, ‘শিশুযৌনকাম একটি স্পষ্ট অপরাধ, অন্যদিকে যৌন দৃষ্টিভঙ্গি একটি মৌলিক মানবাধিকার, এই দুটো বিষয়কে এক করে ফেলাকে আমরা সমর্থন করি না।’ তারা আরো জানায়, ‘মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমের অংশ হাঙ্গেরিয়ান ও বিশ্ব সাহিত্যের বেশ কয়েকটি অনবদ্য সাহিত্যকর্ম এই আইনে নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে পারে।’
[৪] সংস্থাটি জানায়, শেক্সপিয়রের অসংখ্য নাটক ও গ্রিক কবি স্যাফোর শ্লোকগুলোতে সমকামী প্রেমের অনেক বর্ণনা রয়েছে যা শ্রেণীকক্ষ থেকে নিষিদ্ধ হতে পারে। ফরাসি কমি পোল ভের্লেন, আর্তুর র্যাঁবো, ফরাসি ঔপন্যাসিক মার্সেল প্রুস্ত, জার্মান ঔপন্যাসিক টমাস মানও নতুন আইনে জড়িয়ে যেতে পারেন।
[৫] সমকামীতা ও লিঙ্গ পরিবর্তন বিষয়যুক্ত পাঠ্যবই ও বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধের সমালোচনার জবাবে হাঙ্গেরির সরকার বলছে, ‘শিশুদের সুরক্ষার জন্য গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে আমরা অনুতপ্ত নই।’
[৬] এর আগে ২০১৩ সালে রাশিয়াতে এমন একটি আইন পাশ হয়। শিশুদের সমকামীতা ও লিঙ্গ সম্পর্কে শিক্ষা দেয়া যুক্তরাষ্ট্রেও বিতর্কিত। সম্প্রতি রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত টেনেসি অঙ্গরাজ্য একটি আইন পাশ করে যেখানে শ্রেণীকক্ষে এলজিবিটি সম্পর্কে শিক্ষা দিতে হলে আগে অভিভাবকদের জানাতে হবে।