লিহান লিমা: [২] সেনা অভ্যূত্থানে গ্রেপ্তার মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির ৭৬তম জন্মদিনে চুলে ফুল গুঁজে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন তার সমর্থকরা। মিয়ানমারে সামরিক শাসনের অবসান ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে চুলে ফুল গুঁজতেন সু চি। এটি মাথায় রেখে শনিবার নেপিদো ও ইয়াঙ্গুনসহ মিয়ানমারের বেশ কয়েকটি শহরে প্রতিবাদ মিছিল করেন তার ভক্ত, অনুসারী ও জান্তা বিরোধী বিক্ষোভকারীরা। রয়টার্স, ফ্রান্স২৪
[৩] সু চি ক্ষমতায় থাকাকালে জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়নের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে কারাদণ্ড ভোগ করা মানবাধিকার কর্মী থেট সোয়ে উইন চুলে ফুল গুঁজে বিক্ষোভে শামিল হন। রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘আমি সু চি সহ মিয়ানমারের সব মানুষের ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক অধিকার চাই।’
[৪] ২০২০ সালের নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে গত ১ ফেব্রুয়ারি সু চিসহ দেশটির প্রেসিডেন্ট ও এনএলডির (ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি) রাজনীতিবিদদের গ্রেপ্তার করে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমার জান্তা।
[৫] ক্ষমতায় থাকাকালে রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য পাচার, ঘুষ গ্রহণ, অবৈধ ওয়াকিটকি রাখা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন লঙ্ঘনসহ মোট ৫ অভিযোগ গঠন করা হয়। গত এর মধ্যে দুইটি স্পর্শকাতর অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে আজীবন পর্যন্ত কারাবাস ভোগ করতে হতে পারে। সু চির আইনজীবীরা বলছেন এই অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন ও সমর্থকরা বলছেন তাকে রাজনীতি থেকে দূরে সরাতেই এমন অভিযোগ আনা হয়েছে।
[৬] ১৪ জুন থেকে নেপিদোর আদালতে সু চির বিচার শুরু হয়েছে। পরবর্তী শুনানি হবে আগামী সোমবার।
[৭] ১৯৯১ সালে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলনের স্বীকৃতিস্বরুপ শান্তিতে নোবেল জয় করেন সু চি। তবে ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের ওপর নিধনযজ্ঞে দেশটির সেনাবাহিনীর প্রতি তার সমর্থন আন্তর্জাতিক বিশ্বে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে। তবে মিয়ানমারে তার জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ে নি।