আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] বাংলাদেশ কি যুক্তিতে ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিল তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। ভারত বলেছে, জাতিসংঘের প্রস্তাবনা খসড়ায় ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়নি। তাই তড়িঘড়ি করে যে রেজ্যুলুশন আনা হয়েছে তাতে বিশ্বাস নেই নয়া দিল্লির। সব ইস্যুর শান্তিপূর্ণ সমাধানে বৃহত্তর অংশগ্রহণের আহ্বান জানায় ভারত। পিটিআই
[৩] শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা দেয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাব গৃহীত হয়। এতে মিয়ানমারে ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের নিন্দা জানানো হয়। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানানো হয়। ভারত বলেছে, এতে যে বিষয় তড়িঘড়ি করে আনা হয়েছে তা ওই দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করার জন্য যে যৌথ প্রচেষ্টা রয়েছে এটা তার পাল্টা ব্যবস্থা। বিবিসি
[৪] ‘দ্য সিচুয়েশন ইন মিয়ানমার’ শীর্ষক ওই খসড়া প্রস্তাব এর পক্ষে ভোট দেয় ১১৯টি দেশ। তবে প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে একটিমাত্র দেশ, বেলারুশ। জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস তিরুমূর্তি বলেছেন, প্রতিবেশী এবং আঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গে পর্যাপ্ত আলোচনা ছাড়াই দ্রুততার সঙ্গে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এই প্রস্তাব আনা হয়েছে। এটা শুধু সহায়ক প্রতিকূলই নয়, একই সঙ্গে মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি সমাধানের জন্য আসিয়ান যে প্রচেষ্টা নিয়েছে তার পাল্টা ব্যবস্থাও। রয়টার্স
[৫] তিরুমূর্তি আরো বলেন, মিয়ানমারের নিকটতম প্রতিবেশী এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু ভারত। তাই সেখানে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মারাত্মক প্রভাবের বিষয়টি অবগত ভারত। এই অস্থিতিশীলতা মিয়ানমার সীমান্তের বাইরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।