কূটনৈতিক প্রদিবেদক: [২] মাদ্রিদের সিটি হল পালাসিও দে সিবেলেসে অনুষ্ঠিত পাঁচ দিনের মেলায় সরাসরি অংশ নেয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল উইংয়ের ব্যবস্থাপনায় স্টলে আগ্রহী ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বৈঠক ও তথ্য আদান-প্রদান করা হয়। এ ছাড়া দিনব্যাপী সেমিনার, কনফারেন্স ও রাউন্ড টেবিল বৈঠকেও বাংলাদেশকে তুলে ধরা হয়
[৩] রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার ইমার্জিং টাইগার হিসেবে আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংকের দেওয়া মন্তব্য উল্লেখ করে বলেন, বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত হয়েছে।
[৪] বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে অনেক সুযোগ-সুবিধা তৈরি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।
[৫] পৃথিবীর অনেক দেশ এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে এসেছে। কারণ এখানে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। স্পেনসহ ইউরোপও এখানে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবে।
[৬] দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর রেদোয়ান আহমেদ বলেন, দেশটির ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের গার্মেন্টস সেক্টর, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, তথ্যপ্রযুক্তি, জনশক্তি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
[৭] তিনি বলেন, স্প্যানিশ ব্যবসায়ীরা এতদিন বাংলাদেশকে শুধু তৈরি পোশাক উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে জেনে এসেছে। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল এ ধারণা পরিবর্তন করা।
[৮] বিজনেস অ্যান্ড ইনভেসমেন্ট অপরচুনিটি ইন বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনারে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ ও সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়।
[৯] স্পেনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ১৯তম আসরে বিশ্বের ৫০টি দেশের উৎপাদক, পরিবেশক, ব্যবসায়ী, আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকরা অংশ নেয়।