প্রভাষ আমিন: পরীমনির করা মামলায় আসামি করা হয়েছে ৬ জনকে, তবে নাম উল্লেখ করা আছে ২ জনের। তার মধ্যে যে পরীমনিকে বোট ক্লাবে নিয়ে গিয়েছিলেন সেই অমির উত্তরার বাসা থেকে তাকে এবং মামলার মুল আসামি নাসির ইউ মাহমুদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকও উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের এই দ্রুতগতির অভিযানে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন সবাই। পরীমনি বলেছেন, ম্যাজিক। তবে পুলিশি অভিযানের সময় অমির বাসা থেকে তিন নারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এই ঘটনায় যাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কোনো মামলায়ও তারা আসামি নন। কোনো রকম তদন্ত ছাড়াই পুলিশ তাদের ‘রক্ষিতা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
নাসির এবং অমির সঙ্গে সেই তিন নারীকেও ক্যামেরার সামনে হাজির করা হয়েছে। এখন তাদের উদ্ধার করা মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এই তিন নারী কারা, তাদের পরিচয় কী জানি না। শুধু অমির বাসায় ছিলেন, এটাই কি তাদের অপরাধ? এক নারীর নির্যাতনের বিচার করতে গিয়ে, এক নারীকে ন্যায়বিচার দিতে গিয়ে অন্য তিন নারী প্রতি কি আমরা অবিচার করছি, তাদের সামাজিকভাবে হেয় করছি? পরীমনির মর্যাদা রক্ষা করতে গিয়ে অন্য তিন নারীর যেন মর্যাদাহানি না হয়।
লেখক : হেড অব নিউজ, এটিএন নিউজ