শাহিদুল ইসলাম: [২] ‘দুষ্কৃতিকারীদের কর্তৃক রাতের আঁধারে কেটে ফেলা শখে লাগানো বিভিন্ন ফলদ গাছের চারাগুলো ধরে কাঁদছিলেন অশিতিপরায়ন এক বৃদ্ধ। আর বলছেন, গাছগুলো আমার শখের লাগানো ছিল। রাজশাহী’সহ দেশের বিভিন্ন নার্সারী থেকে বেছে বেছে আনা আম, কাঠাল এবং কাঁঠের কিছু গাছ লাগিয়েছিলাম বাড়ির আঙ্গিনায়, সড়কের পাশে। কি অন্যায় করেছিল এ গাছগুলো? এ কেমন নিষ্ঠুরতা।’
[৩] বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) সকালে দুষ্কৃতিকারীদের কর্তৃক গাছ কাটার সংবাদে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাটা গাছ জড়িয়ে ওই বৃদ্ধ কান্না বিজড়িত কন্ঠে আর্তি জানাচ্ছিলেন।
[৪] ঘটনাটি ঘটে বুধবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময়ে দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের চান্দপুর গ্রামের ‘গঙ্গামন্ডল মডেল কলেজ’ সড়কের পাশে।
[৫] ওই সড়কের পাশের বাড়ির বৃদ্ধ হাজী মোঃ মঞ্জুর আলী (৮০) বলেন, বছর তিনেক আগে আমার পুত্র মোঃ কামাল হোসেন রাজশাহী থেকে উন্নতমানের আমের চাড়া, দেশের বিভিন্ন নার্সারী থেকে কাঁঠাল ও কাঁঠের চারা এনে নিজ বাড়ির আঙ্গীনায় এবং ‘গঙ্গামন্ডল মডেল কলেজ’ সড়কের পাশে লাগিয়েছিলাম। সন্তানের মতো গাছগুলোর পরিচর্যা করে আসছিলাম। গাছগুলো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিল। বছর ঘুরে এলে থোকায় থোকায় ফল ধরার দশ্য দেখার অপেক্ষায় ছিলাম, সে দেখা আর হলো না।
[৬] স্থানীয়রা জানান, রাজশাহী’সহ বিভিন্ন নার্সারী থেকে আনা গাছগুলো সখের লাগানো ছিল। বৃদ্ধ হাজী মোঃ মঞ্জুর আলী প্রতিদিনই গাছগুলো পরিচর্যায় করতে দেখতাম। আজ সকালে এসে দেখি ওনার শখের গাছগুলোর মধ্যে আমা-কাঁঠাল এমনকি কাঁঠের কেশ কিছু গাছ কুপিয়ে কেটে ফেলে রেখেছে। কারা এ কাজ করতে পারে জানতে চাইলে জবাবে বলেন, ওদের নাম বলা যাবে না।
[৭] বৃদ্ধ হাজী মোঃ মঞ্জুর আলী’র পুত্র মোঃ কামাল হোসেন জানান, আমরা বাড়িতে থাকি না। বাবা থাকেন, বাবার ইচ্ছাতেই কিছু উন্নতমানের আম, কাঁঠালের ফলদ ও বৃক্ষের গাছের চারা এনে দেই। সেগুলো বাবা সন্তানের মতোই পরিচর্যা করে আসছেন। খুব খারাপ লাগে তখন বাবা যখন কাটা গাছগুলো ধরে সন্তান হারার মতো হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন। সম্পাদনা: হ্যাপি