বাবুল আক্তার:[২] দিনে দিনে যশোরে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে করোনা পরিস্থিতি। প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, বাড়ছে মৃতের মিছিলও। গত ৯ দিনে যশোরে করোনা আক্রান্ত হয়ে ২১ জন মারা গেছেন। আর গত ২৪ ঘন্টায় মারা গেছেন পাঁচজন।
[৩] তবে পরিস্থিতি ভয়াবহ হলেও কঠোর বিধিনিষেধের নামে যশোরে চলছে জনগণ ও প্রশাসনের লুকোচুরি খেলা। যশোর পৌর এলাকা ও আশপাশের চারটি ইউনিয়নে চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা মানা হচ্ছে না। প্রশাসনের তৎপরতার মধ্যেও মাঝেমধ্যেই দড়াটানার মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় যানজট লাগছে। এমন পরিস্থিতিতে যশোরের মৃত্যুর মিছিল ঠেকাতে কঠোর বিধিনিষেধ নয়, কার্ডকর লকডাউনের দাবি উঠছে।
[৪] জানা যায়, গত ৯ জুন থেকে যশোর পৌর এলাকা ও নওয়াপাড়া পৌরসভা এলাকায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রশাসন। ঐদিন জেলায় ৩৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৫২ জনের করোনা ধরা পড়ে। শনাক্তের হার ছিলো ৫৩ শতাংশ। ওই দিন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান দুইজন।
[৫] এরপর বিধি নিষেধ চলাকালেই যশোরে করোনা পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। প্রতিনিয়ত আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে মৃত্যুর মিছিলও।সর্বশেষ আজ বুধবার যশোরে ১৬৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ২৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এই ১৬৫ জনের করোনা পজিটিভ হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় মারা গেছেন আরো পাঁচজন।
[৬] এর আগে ১৫ জুন আক্রান্ত হন ২৪৯ জন। আক্রান্তের হার ছিলো ৪৭ শতাংশ। মারা যান তিনজন। ১৪ জুন ২৪২টি নমুনা পরীক্ষা করে আক্রান্ত হন ৯২ জন। মারা যান পাঁচজন। ১৩ জুন ৩০৪টি নমুনা পরীক্ষা করে আক্রান্ত হন ১৫০ জন। ১২ জুন ২০১টি নমুনা পরীক্ষা করে আক্রান্ত হন ৬১ জন। মারা যান তিনজন।১১ জুন ২৬৯টি নমুনা পরীক্ষা করে আক্রান্ত হন ৭৮ জন। মারা যান দুইজন। ১০ জুন ৪৯১টি নমুনা পরীক্ষা করে আক্রান্ত হন ১৯৪ জন। মারা যান একজন।
[৭] এদিকে, করোনার এই প্রকোপ ঠেকাতে যশোর পৌর এলাকা ও নওয়াপাড়া পৌর এলাকায় কঠোর বিধিনিষেধ আরো এক সপ্তাহের জন্য বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া যশোর পৌরসভার লাগুয়া উপশহর, নওয়াপাড়া, আরবপুর ও চাঁচড়া ইউনিয়নে এই কঠোর বিধিনিষেধে জারি করা হয়েছে।
[৮] কিন্তু কোনভাবেই মানুষ ঘরে থাকছেন না। সঙ্গত কারণেই প্রতিনিয়িত করোনার প্রকোপ যশোরে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। মারা যাচ্ছেন মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে জনগণ ও প্রশাসনের লুকোচুরি খেলা বন্ধ করতে কার্যকর লকডাউন ঘোষণার দাবি উঠছে।সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন