কূটনৈতিক প্রতিবেদক:[২] জাতিসংঘে উচ্চ পর্যায়ের ভার্চ্যুয়াল সভায় যুক্ত হয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ পদক্ষেপ ও অনুরোধ জানিয়ে বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানে আমরা সবসময়ই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় ভূমিকার আহ্বান জানিয়েছি। সমস্যার মূল কারণগুলো খুঁজে বের করে তা সমাধানের কথা বলেছি। কিন্তু দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছেনা।
[৩] রোহিঙ্গাদের মৌলিক ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে তাদের নিরাপত্তা এবং মর্যাদাপূর্ণভাবে প্রত্যাবর্তনে ব্যবস্থা নেওয়ার বিকল্প নেই।
[৪] মোমেন বলেন, নীতি-আদর্শ ও উদারতার জন্যই আমরাবাস্তচ্যুত এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গাদে আশ্রয় দিয়েছি। আমাদের সম্পদ ও স্থানের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও রোহিঙ্গা কল্যাণে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছি।
[৫] জাতিসংঘ ও অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীরা ভাষানচর পরিদর্শন করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এবং তাদের কর্মসূচির বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেছেন।
[৬] নিরাপত্তা পরিষদ জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী তাদেরও দায়বদ্ধতা পরিপালন করবে এবং মিয়ানমার সমস্যার সমাধানে অনতিবিলম্বে ও জরুরিভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
[৭] আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের পাশাপাশি আঞ্চলিক সংস্থা ও দেশ এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনের জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
[৮] বুধবার জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, ভার্চ্যুয়াল ইভেন্টটির আয়োজন করে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন, কানাডা, সৌদি আরব ও তুরস্ক।
[৯] উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ভলকান বজকির তার সাম্প্রতিক কক্সবাজার সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।