মোঃ মশিউর রহমান: [২] স্কুল কলেজ বন্ধ, শিক্ষার্থীরা অন্ধ, সবে মাত্র বুঝতে শিখেছে বয়স সাত কি আট এখই তা বেছে নিতে হচ্ছে অর্থ আয়ের পথ। যে বয়সে ব্যস্ত থাকবে লেখাপড়া ও খেলাধুলা নিয়া সেই বয়সে ঘুড়তে হচ্ছে রিক্সার প্যাডেল নিয়ে। ক্ষুধার জ্বালায় কাতর দেহ দুমুঠো অন্ন রোজগারের জন্য, তাদের দায়িত্ব সামাজসেবকরা নিবে কিসের জন্য? ভোটের আগে কতই না কিছু বলে! ভোট শেষে আবার কথা বলে কতই না কলা কৌশলে। কেবল উঠছে নিউ টেন-এ,এখন তাকে বিয়ের পিরিতে বসতে হচ্ছে সংসারের অভাব অনাটনে।
[৩] করোনার কারণে গেল বছরের ১৭ মার্চ থেকে সারাদেশের ন্যায় পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অদ্যাবধি বন্ধ রয়েছে। ফলে শ্রেণীকক্ষের পাঠদান না থাকায় শিক্ষার্থীরা শিশু শ্রম, তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার, অসৎ সঙ্গসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। হতদরিদ্র, মধ্যবিত্ত পরিবারের অনেক মেধাবী ছাত্রীরা হচ্ছে বাল্য বিয়ের শিকার। বাল্য বিয়ের কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ ও মামলার হার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার প্রভাব পরিবার থেকে সমাজে পড়ছে। এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পাশাপাশি অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীর অভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। শিক্ষকদেরও বিষয়ভিত্তিক অভিজ্ঞতার ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।
[৪] দেশের বেশির ভাগ লোকজনই গ্রামে বাস করে, আর এদের মূল পেশাই হচ্ছে কৃষি কাজ। আর দেশে কৃষকরাই হচ্ছে সবচেয়ে গরীব। স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় অভিভাবকরা মেয়ে নিয়ে খুবই টেনশন রয়েছে।
[৫] সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার প্রায় মা বাবাই তাদের মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে। আর এদিকে ছেলে শিশুদের কেউ নিয়ে যাচ্ছে বাবার সাথে মাঠে কাজ করতে রিক্সা চালাতে, বাসের হেলপার হিসাবে কাজ করতে। এভাবেই ধ্বংস হচ্ছে তাদের শিক্ষাজীবন।
[৬] স্থানীয় সচেতন মহলের প্রতিনিধিরা বলেছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা অত্যন্ত জরুরি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এক আসন ফাঁকা রেখে তাদেরকে ক্লাস করাবেন। প্রয়োজনে দু’দিন পর একদিন ক্লাস করাবেন বলে এমন ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সম্পাদনা: হ্যাপি