লিহান লিমা: [২] মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তদন্তের আহ্বান জানিয়ে বলেছে, বাংলাদেশে আশ্রিত ৮ লাখ রোহিঙ্গাদের ওপর তৈরি করা তথ্য অযথাযথভাবে সংগ্রহ করে তা মিয়ানমারকে দিয়েছে জাতিসংঘ। সিএনএ
[৩]সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত তিন বছর ধরে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) বাংলাদেশের শিবিরে আশ্রিত হাজার হাজার রোহিঙ্গার তথ্য সংগ্রহ করে তা বাংলাদেশ দেয়। যাতে বাংলাদেশ তাদের প্রয়োজনীয় ত্রাণ ও সেবা দেয়ার জন্য একটি পরিচয়পত্র দিতে পারে। কিন্তু জাতিসংঘের সংগৃহীত রোহিঙ্গাদের ছবি, আঙ্গুলের ছাপ ও বায়োগ্রাফিক তথ্য প্রত্যাবসন প্রক্রিয়ার জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশ তুলে দেবে এ বিষয়ে রোহিঙ্গাদের জানানো হয় নি। যা ২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নৃশংসতার শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ৮ লাখ ৮০ হাজার শরণার্থীর জন্য উদ্বেগজনক।
[৪] হিউম্যান রাইট ওয়াচ বলেছে, তারা ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এ বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত ২৪ জন রোহিঙ্গার এই নিবন্ধন নিয়ে সাক্ষাৎকার নিয়েছে। তারা বলেছেন, তথ্য নেয়ার সময় তাদের বলা হয়েছিলো এটি শুধু ত্রাণের জন্য, এগুলো অন্য কাউকে দেয়া হবে না।
[৫]হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ক্রাইসিস এবং কনফ্লিক্ট ডিরেক্টর লামা ফাকিহ বলেন, ইউএনএইচসিআর নিজস্ব নীতিবিরুদ্ধ কাজ করেছে। এর ফলে শরণার্থীদেরকে আরো ঝুঁকিতে ফেলে দেয়া হয়েছে।
[৬] অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ইউএনএইচসিআর বলেছে, প্রত্যাবর্তনের জন্য মিয়ানমারের সঙ্গে এসব তথ্য ভাগাভাগি করা হবে এই অনুমতিক্রমেই রোহিঙ্গারা সংশ্লিষ্ট কর্মীদের কাছে তথ্য দিয়েছেন। সংস্থার মুখপাত্র আন্দ্রেঁজ ‘মাহেসিক বলেছেন, আমরা সারা বিশ্বেই শরণার্থীদের তথ্য নিবন্ধন করে তা সুরক্ষিত রাখার নীতি অনুসরণ করি।’