আসাদুজ্জামান বাবুল/ সমীর রায়/মাহাবুব সুলতান: [২] বিশিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল রব শাহ্। আনুমানিক বয়স ৭০ বছর। পিতা মৃত্যু আফছার উদ্দিন শাহ্। স্ত্রী আন্না বেগম ও ৩ ছেলে ৫ মেয়ের সংসার। বাড়ী কোটালীপাড়া উপজেলার মদনপাড়া।
[৩] পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গেঁ যুদ্ধ করেছেন কোটালীপাড়ার ঘাঘর বাজার, রামশীল, শিকির বাজার, টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতি, গিমাডাঙ্গা শ্রীরামকান্দি, বাশবাড়ীয়াসহ নানান জায়গায়।
[৪] এরশাদ সরকারের আমলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিশিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল রব শাহ্কে আর্শিবাদ হিসেবে ৫ হাজার টাকা দিয়েছিলেন।
[৫] সেই ৫ হাজার টাকা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল রব শাহ্ কোটালীপাড়া উপজেলার পশ্চিমপাড়ে একটি খাবার হোটেল করেন। কোটালীপাড়া বিলের শৈল মাছ, কই মাছ, পুটি মাছ, টেংরা মাছ, গরুর মাংশ, খাসির মাংশ, দেশি মুরগীর মাংশ, করোলা ভাজি ও আলু ভর্তাসহ নানান প্রকার সু-স্বাধের খাবার তৈরী করে মানুষ খাওয়াইয়ে খুব অল্পদিনে ব্যপক জনপ্রিয়তা অজন করেন এই মুক্তিযোদ্ধা।
[৬] বিশেষ করে বিখ্যাত শৈল মাছ ভুনা খেতে গোপালগঞ্জ জেলা সদরসহ পার্শ্ববতী, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, পিরোজপুর, আগৈলঝাড়া, বরিশাল এমনকি ঢাকা খুলনা জেলা থেকেও মানুষজন এসে থাকেন এই হোটেলে এমনটা জানালেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল রব শাহ।
[৭] কোটালীপাড়া পশ্চিমপাড় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেস্কের সামনে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল রব শাহর সবুজ নামের এই খাবার হোটেলে প্রতিদিন ভোর থেকে কমপক্ষে রাত ১২টা পযন্ত খাবার পাওয়া যায় বলেও জানান তিনি।
[৮] আবেগ আপ্লুত বিশিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল রব শাহ্ আজ সোমবার দুপুরে কান্না ভরা চোখে আমাদের এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, তখন আমি বেকার। ছেলে মেয়ে নিয়ে বলতে গেলে মানবেতর জীবনযাপন করি। ঠিক এমন সময় সাবেক বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করি।ইরশাদ সরকারের আমলে জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা মাননীয় ধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে আর্শিবাদ করেছিলেন।
[৯] বলেছিলেন ছেলে মেয়েদের জন্যে একটা কিছু কিনে নিয়ে বাড়ী যাও। বাড়ী ফিরে আমি ওই টাকা দিয়ে খাবার হোটেল করি। হাটি হাটি পা পা প্রধানমন্ত্রীর দেয়া সেই ৫ হাজার টাকা দিয়ে খাবারের হোটেল করে ৫টি মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি।
[১০] আর আমার সাবালক তিনটি ছেলে তারা এখন আমার সঙ্গেঁ হোটেল ব্যবসা করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া ৫ হাজার টাকা দিয়ে সততার সাথে ব্যবসা করে ৯ লক্ষ টাকা দিয়ে ১১ শতাংশ জায়গা কিনে চৌচালা একটি টিনের ঘর থেকে বিল্ডিং করেছি। মোটর সাইকেল কিনেছি।
[১১] বর্তমান আরো একটি ওয়ালসেড ঘর দিচ্ছি। আমার বাড়ীতে বতমান ৫ খানা টিনের ঘর করেছি। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সরকার আমাকে একটি বিল্ডিং করে দিয়েছে। এ ছাড়া প্রতিমাসে ১২ হাজার টাকা মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাচ্ছি।
[১২] সবমিলে সততার সাথে খাবার হোটেলের ব্যবসা করে স্ত্রী, ছেলে মেয়ে নিয়ে খেয়ে পরে ভালো আছি। করেছি বাড়ী কিনেছি জমি ও মোটরসাইকেলসহ নানান কিছু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ নির্বাচনী এলাকা টুঙ্গিপাড়া কোটালীপাড়ার এই বিশিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের লোকজন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন।