আব্দুল্লাহ মামুন: [২] উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, পরিকল্পনা প্রতিদিন পরিবর্তন হয় না। আগের পরিকল্পনাই বহাল আছে, এবং আমরা তা বাস্তবায়নে কাজ করছি। দুটি পরিকল্পনার আওতায় কাজ চলছে, এরমধ্যে একটি রাস্তা ঘাটের অবকাঠামো তৈরি, ২৯ কি.মি খাল উদ্ধার, খালের পার বাধানো, ফুটপাত ও সাইকেল চলাচলের রাস্তা এবং নির্দিষ্ট স্থানে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ইত্যাদি।
[৩] তিনি আরও বলেন, নতুন ওয়ার্ডগুলোতে ড্রেনেজ ব্যবস্থার জন্য ৭ কি.মি ব্যাসার্ধের পাইপ, ওয়াসার লাইন বসানো, ফুটপাত, ড্রেন তৈরি করা হবে। এছাড়া বিশেষ করে বৈদ্যুতিক তার, ডিসসহ অন্যান্য সকল সেবার জন্য সেন্ট্রাল ডাক্টিং সিস্টেম চালু করা হবে। এই ডাক্টিং সিস্টেম চালু করার ফলে দেখতে ঝুলন্ত তারের ঢাকাশহর থেকে আমরা বাঁচতে পারবো। গতবার কোভিডের জন্য পর্যাপ্ত বাজেট পাওয়া যায়নি, তবে এই অর্থবছরে কিছু বাজেট দিয়ে এই প্রকল্পটি চালু করা হবে।
[৪] আতিকুল ইসলাম বলেন, বিদ্যমান ৩৬টি ওয়ার্ডের পরিধি ৮৬ বর্গ কিলোমিটার এবং নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের পরিধি ১১২ বর্গ কিলোমিটার সুতরাং এই ওয়ার্ডগুলো আমাদের জন্য খুবই গুরত্বপূর্ণ। সবকিছুর জন্যই একটি মাস্টার প্লান তৈরি করা হয়েছে অর্থাৎ ওয়ার্ডগুলোর কোথায় রাস্তা-ঘাট, বাজার, খেলার মাঠ, কাউন্সিলর অফিস, জোনাল অফিসসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু এই পরিকল্পনার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছে।
[৫] তিনি আরও বলেন, এই মাস্টার প্লান বাস্তবায়নের জন্য পরিকল্পনার একটি কপি রাজউক চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়েছে, অন্যটি ড্যাপের সভাপতি স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে দেওয়া হবে। যার ফলে আমাদের মাস্টার প্লানটি সমন্বয় করে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। নতুন ওয়ার্ড কেন্দ্রিক দুটি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, একটি রাস্তাঘাটের অবকাঠামো তৈরি বিষয়ক, অন্যটি কাউন্সিলর অফিস, জোনাল অফিস, বাজার, মসজিদ, মন্দির, খেলার মাঠ, কবরস্থানসহ ভৌত কাঠামো বিষয়ক।
[৬] আতিকুল ইসলাম বলেন, এই মাস্টার প্লান বাস্তাবায়নের জন্য কয়েকশো একর জমি প্রয়োজন। জমি অধিগ্রহণে সরকারি বাজেটের অপেক্ষা করছি। মাস্টার প্লান বাস্তবায়নে জমি অধিগ্রহণ ছাড়া সম্ভব নয়। এই পরিকল্পনা পূর্বের ওয়ার্ডগুলোর জন্য করা হয়নি, তবে আমরা একটি পরিকল্পিত শহর করতেই এই মাস্টার প্লান তৈরি করেছি। সম্পাদনা: মেহেদী হাসান