মিনহাজুল আবেদীন: [২] সৌদি আরবে যাওয়ার পর শ্রমিকদের কোয়ারেন্টিন প্যাকেজের জন্য ৮০ হাজার টাকার মতো খরচ বেড়েছে। যা তাদের জন্য বাড়তি চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
[৩] সৌদি আরব প্রবাসী নোয়াখালীর ইমরান হোসেন বলেন, নিজ খরচে কোয়ারেন্টিনে থাকা তার জন্য অনেক বড় বোঝা। হঠাৎ করে শোনার পর মানুষের কাছ থেকে টাকা ধার করতে হইছে। এখানে আসছি পনের দিন হলো এখনো কোনও কাজ নেই। কাজ আছে ধরেন একটা আর তার জন্য বিশটা লোক চেষ্টা করছে। এখানে মালিকরা কাজে নিচ্ছে না। আবার কাজ করিয়ে টাকা দিচ্ছে না।
[৪] প্রবাসী আক্তার হোসেন বলেন, কোয়ারেন্টিনে অর্থ যোগাড় করতে না পেরে অনেকে সৌদি আরব যেতে পারেছে না। তবে কোয়ারেন্টিনের অর্থ মালিকের দেয়া উচিৎ।
[৫] জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য মতে, গত বছর করোনাভাইরাসের মহামারি শুরুর পর চাকরি হারিয়ে প্রায় সাড়ে তিন লাখ অভিবাসী কর্মী দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন। যদিও বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যাটি আরও বেশি বলা হয়।
[৬] অভিবাসন বিশেষজ্ঞ সুমাইয়া ইসলাম বলেন, কোয়ারেন্টিনের অর্থ সৌদি আরবে মালিকদের বহন করা উচিত।
[৭] তিনি বলেন, মহামারির কারণে অনেক শ্রমিক কাজ হারিয়েছে, অনেকে ছুটিতে এসে আর ফিরে যেতে পারেনি, দেশে কোনও কাজে যোগ দিতে পারেনি, জীবন চালাতে গিয়ে জমানো টাকা খরচ হয়েছে, এরকম অবস্থায় আবারো যখন শ্রমিকদের কাজে ফিরে যাওয়াটা শুরু হয়েছে তখন এই যে বাড়তি টাকাটা যোগ হলো সেটা একজন শ্রমিকের জন্য বিশাল বোঝা। এই খরচের একটি অবশ্যই মালিকদের বহন করা। দেশের রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোরও একটি অংশ দেয়া উচিৎ।
[৮] জনশক্তি ও কর্মসংস্থান ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. শহিদুল আলম বলেন, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ধারণা দিয়েছেন যে এই কোয়ারেন্টিন পুরোপুরি উঠিয়ে দেয়া যায় কিনা, অথবা নিজের দেশেই করা যায় কিনা সেটা নিয়ে চেষ্টা করা হচ্ছে। যদি দেশে কোয়ারেন্টিন করে ফ্লাই করে সেক্ষেত্রে শ্রমিকের জন্য বিষয়টা সহজ হবে।
[৯] তিনি বলেন, শ্রমিকদের টিকা দেবার ব্যাপারে কথা বলছি। আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। টিকা আসলে শ্রমিকরা অগ্রাধিকার পাবে। টিকার ক্ষেত্রে বয়সের যে ব্যাপারটা তাদের ক্ষেত্রে সেটি উঠিয়ে দিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেয়ার ব্যাপারে আমাদের উদ্যোগ আছে। সম্পাদনা: রাশিদ