শাহীন খন্দকার: [২] টিকার মজুত না থাকায় একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে টিকাকেন্দ্র। এই অবস্থায় অনিশ্চয়তায় রয়েছে দেশের ১৪ লাখের বেশি মানুষের নির্ধারিত সময়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ পাওয়া। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৪ মাসের ব্যবধানেও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যেতে পারে। তবে তার আগেই নিশ্চিত করতে হবে প্রয়োজনীয় টিকার মজুত। রাজধানীর জাতীয় নাক কান গলা ইনস্টিটিউটে একজন জানান, প্রথম ডোজ নিয়েছি। এখন দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে অনিশ্চয়তায় আছি। পাব কি-পাব না। সরকার থেকে পরিষ্কারভাবে কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।
[৩] রাজধানীর ৪৭টি কেন্দ্রের ২৭টি কেন্দ্র বৃহস্পতিবার বন্ধ হয়ে গেছে। আর দেশের ৬৪ জেলার ৪২টিতেই টিকার অভাবে বন্ধ রাখতে হচ্ছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া। যেসব কেন্দ্রে চলছে, সেগুলোতেও টিকা দেওয়ার হার একেবারেই কম। সারাদেশে বৃহস্পতিবার টিকা দেওয়া হয়েছে ৬৮২৮ জনকে।
[৪] ভারত সরকারের উপহার আর সেরাম থেকে কেনা এ দুয়ে মিলে এখন পর্যন্ত দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা এসেছে এক কোটি ৩ লাখ। ৫৮ লাখ ২০ হাজার মানুষ প্রথম ডোজ নেওয়ার বিপরীতে দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৪২ লাখ ৪০ হাজার ৮৫৬। এখনো দ্বিতীয় ডোজ না পাওয়া ব্যক্তি প্রায় ১৬ লাখ।
[৫] জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সহীদুল্লাহ বলেন, যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের মধ্যে এখনো ১৫-১৬ লাখ দ্বিতীয় ডোজ পায়নি। চার মাস পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেওয়া যাবে।