কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, কোভ্যাক্সের মাধ্যমে প্রাপ্ত ভ্যাকসিন রোহিঙ্গাদের দেয়ার অনুরোধ জাতিসংঘ।
[৩] জাতিসংঘ যদি রোহিঙ্গা এবং কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণের জন্য ভ্যাকসিন ব্যবস্থা করতে পারে তাতে সরকারের কোনো আপত্তি থাকবে না। বাংলাদেশের জনগণকে টিকার আওতার বাইরে রেখে কোভ্যাক্সের টিকা কেবল রোহিঙ্গাদের প্রদান করা সরকারের জন্য অসম্ভব হবেনা।
[৪] আমরা জাতিসংঘকে বলেছি তারা যদি কোনওখান থেকে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগণের জন্য ভ্যাকসিন সংগ্রহ করতে পারে, বাংলাদেশ সেটি প্রয়োগের দায়িত্ব নিতে পারবে।
[৫] বাংলাদেশের কাছে এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিনের যে ডোজ রয়েছে সেটি একদমই কম এবং সেখানে থেকে রোহিঙ্গাদের দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
[৬] পররাষ্ট্র সচিব বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে করোনা শনাক্তের হার ছিল এক শতাংশের নিচে। গত তিনদিনে তা ১৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এটা যথেষ্ঠ উদ্বেগ জনক। এজন্য ক্যাম্প এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার উপর জোর দেয়া হচ্ছে।
[৭] চলতি বছরেই ভাষানচরে শতভাগ কার্যক্রম শেষ হবে জানিয়ে বলেন, ক্যাম্পকে কাঁটাতারের বেড়ার কাজ এগিয়েছে। এতে ক্যাম্প এলাকায় সংঘটিত অপরাধও নিয়ন্ত্রণে আসবে। জাতিসংঘ চায় রোহিঙ্গারা মুক্তভাবে চলাচল করুক।
[৮] শরনার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ্দোজা নয়ন বলেছেন, রোহিঙ্গাদের আটটি ক্যাম্প এখন হটস্পট। সেগুলো পুরোপুরি লকডাউন করা হয়েছে। শুধু খাদ্য এবং জ্বালানি ছাড়া আর কিছু প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।
[৯] ক্যাম্পগুলোতে ৪০ বছরের ওপরে এক লাখ ৮০ হাজার ও ১৮ বছরের উপরে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা রয়েছেন। সবাইকে ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসতে ১৪ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োজন হবে।