শিমুল মাহমুদ: [৩] ঈদের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। গত ২০ মে পর্যন্ত সংক্রমণ ছিলো ৮ শতাংশের কাছাকাছি। ২৪ মে ৮.১৫ ও ১ জুন ৯.৬৭ শতাংশ। বুধবার নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ২৫৩৭ জন। শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৩৩ শতাংশ, মারা গেছেন আরও ৩৬ জন।
[৪] প্রতিনিধিরা জানান, বুধবার ভোর ৬টা পর্যন্ত শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী ও খুলনা মেডিকেলে মারা গেছে ১৭ জন।
[৫] গতকাল রাজশাহী জেলায় শনাক্তের হার আগের দিনের চেয়ে ৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ পয়েন্ট কমে ৪০ দশমিক ৬২ শতাংশ হয়েছে। মারা গেছেন আরও ১২ জন।
[৬] রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক সাইফুল ফেরদৌস বলেন, সোমবার পর্যন্ত হাসপাতালে ১৩৫টি শয্যা ছিলো। রোগীর চাপ দেখে মঙ্গলবার আরেকটি ওয়ার্ড চালু করা হয়, এখন কোভিড ইউনিটে মোট শয্যা ২৬৪টি। ভর্তি করা হয়েছে ২৭৭ জন, বাকি ১৩ রোগী মেঝেতে আছেন।
[৭] খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় গতকাল ৫৫৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন, যা এ যাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। মারা গেছেন ১০ জন।
[৮] সাতক্ষীরায় ১৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১০৮ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। শনাক্তের হার ৫৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। বাগেরহাটের মোংলায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত রোগীর হার ৫৮.৮৩ শতাংশ। যা আগের দিনের চেয়ে ৫ শতাংশ পয়েন্ট বেশি। কুষ্টিয়ায় ২২২টি নমুনা পরীক্ষা শনাক্ত হয়েছে ৬৭ জন। শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। এটি এখন পর্যন্ত পরীক্ষা বিবেচনায় সর্বোচ্চ শনাক্ত। চুয়াডাঙ্গায় শনাক্তের হার ছিল ৩১ ও মেহেরপুরে ৩০ শতাংশ।
[৯] খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, ১০০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৯ জুন সকাল পর্যন্ত ১৩০ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নতুন ভর্তি হয়েছেন ৫৭ জন।
[১০] উত্তর জনপদের দিনাজপুরে গেলো ৮ দিনে ২৯৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। একই দৃশ্য লালমনিরহাটেও। এই জেলায় গেলো এক সপ্তাহে করোনা সংক্রমণের হার ৩৮ শতাংশ। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব