শিরোনাম
◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত

প্রকাশিত : ০৯ জুন, ২০২১, ০৭:০৭ বিকাল
আপডেট : ০৯ জুন, ২০২১, ০৭:০৭ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাঁশিওয়ালা মাহতাব: ফুঁ দিলেই শরীরে বসে ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছি

ডেস্ক নিউজ: যশোরের কেশোবপুরের বংশীবাদক মাহতাব মোড়ল। বাঁশির সুরে উড়ে এসে তার শরীরে বসে ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছি। এ যেন রূপকথার সেই হ্যামেলিনের বাঁশিওয়ালার বাস্তব রূপ।
মাহাতাব মোড়ল কেশবপুর উপজেলার হাসানপুর ইউনিয়নের মোমিনপুরের কালাচাঁদ মোড়লের ছেলে। কেশবপুরের মোমিনপুরে তার নানাবাড়ি। বর্তমানে এখানকার স্থায়ী বাসিন্দা মাহতাব। সবাই তাকে চেনে মৌমাছি মাহতাব নামে। তিনি বাঁশিতে ফুঁ দিলেই ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছি এসে জড়ো হয় তার শরীরে। মৌমাছির প্রতি ভালোবাসা থেকেই এ অভ্যাস গড়ে তুলেছেন তিনি। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই উৎসুক মানুষ ভিড় করে মাহতাবের বাড়িতে।

জানা গেছে, ১২ বছর বয়স থেকেই মৌচাক থেকে মধু আহরণ করতে শুরু করেন মাহতাব। ওই সময় বালতিতে শব্দ করে চাক থেকে মৌমাছি দূরে সরিয়ে দেয়ার কৌশল রপ্ত করেন তিনি। এরপর টিনের থালায় শব্দ শুনে মৌমাছি চাক ছেড়ে তাঁর কাছে আসতে শুরু করে। এমন দৃশ্য থেকে মৌমাছির প্রতি তার ভালোবাসা জন্মায়।

ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে মধু আহরণের পর এর উচ্ছিষ্ট কাপড়ে লাগিয়ে বাড়ির চারপাশে ঝুলিয়ে রাখেন মাহতাব। ওই কাপড়ে মৌমাছি বসে খাবার গ্রহণ করে, বাড়ির আশপাশে উড়ে বেড়ায়। এক পর্যায়ে টিনের থালা বাদ দিয়ে বাঁশিতে সুর তুলে মৌমাছিকে কাছে আনতে থাকেন মাহতাব। ওই সুর শুনে এখন হাজারো মৌমাছি তার শরীরে জড়ো হয়।

মাহতাব মোড়ল জানান, ২০ বছর ধরে মধু সংগ্রহ করছেন তিনি। বাবার বাড়ি ছিল খুলনার সুন্দরবন-সংলগ্ন কয়রা উপজেলায়। সুন্দরবনসহ সাতক্ষীরা, খুলনা ও যশোর অঞ্চলে তিনি মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করেন। মধুর চাক ভাঙতে ভাঙতে মৌমাছির প্রতি তার ভালোবাসা তৈরি হয়। প্রথমে বালতি, টিনের থালার মাধ্যমে একটি-দুটি মৌমাছি শরীরে বসতে থাকে তার। আর এখন বাঁশির সুরে হাজারো মৌমাছি এসে বসে। মৌমাছি বসতে বসতে শরীর তার মৌচাকের আকার ধারণ করেছে।

মৌমাছি শরীরে কামড় দেয় কি-না জানতে চাইলে মাহতাব বলেন, এর জন্য শরীরকে আগে থেকেই প্রস্তুত করতে হয়। তাদের আঘাত না করলে একটি মৌমাছিও শরীরে হুল বসায় না। কতদিনে বাঁশির এ কৌশল রপ্ত করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ মৌসুমেই বাঁশির সুর রপ্ত করেছি।

মাহতাবের শরীরে মৌমাছি বসে- এ দৃশ্য দেখতে এসেছেন সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের কাস্তা গ্রামের আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, বাঁশির সুর শুনে ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছি মাহতাবের শরীরে বসে চাকের আকার ধারণ করে। বাঁশি বাজানো বন্ধ করার পর মৌমাছি উড়ে পার্শ্ববর্তী বাগানে চলে যায়। অবাক করার মতো ঘটনা। এই প্রথম দৃশ্য দেখলাম। সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়