বাশার নূরু: [২] সারা দেশে নির্মাণাধীন ৫৬০টি মডেল মসজিদের মধ্যে ৫০টি উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এসব মডেল মসজিদের উদ্বোধন করবেন।
[৩] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই উদ্যোগকে বিশ্বে অনন্য দৃষ্টান্ত বলে উল্লেখ করে বুধবার মডেল মসজিদের প্রকল্প পরিচালক নজিবুর রহমান জানান, এসব মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ১৩ ধরনের বিশেষ সুবিধা রয়েছে। এগুলো হচ্ছে নারী ও পুরুষদের পৃথক ওজু ও নামাজ আদায়ের সুবিধা, প্রতিবন্ধী মুসল্লিদের টয়লেটসহ নামাজের পৃথক ব্যবস্থা, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, ইসলামিক লাইব্রেরি, অটিজম কর্নার, ইমাম ট্রেনিং সেন্টার, ইসলামিক গবেষণা ও দ্বিনি দাওয়া কার্যক্রম, পবিত্র কোরআন হেফজখানা, শিশু ও গণশিক্ষায় ব্যবস্থা, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আবাসন ও অতিথিশালা, মরদেহ গোসল ও কফিন বহনের ব্যবস্থা, হজ যাত্রীদের নিবন্ধনসহ প্রশিক্ষণ, ইমামের প্রশিক্ষণ, ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অফিসের ব্যবস্থা।
[৪] মসজিদের ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোতে পবিত্র হজ পালনের জন্য ডিজিটাল নিবন্ধনের ব্যবস্থা থাকবে। উপকূলীয় এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে মসজিদগুলোর নিচতলা ফাঁকা থাকবে।
[৫] জেলা সদর ও সিটি করপোরেশন এলাকায় নির্মাণাধীন প্রতিটি মসজিদে একসঙ্গে ১২০০ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। উপজেলা ও উপকূলীয় এলাকার মডেল মসজিদে একত্রে ৯০০ মুসল্লির নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা থাকবে। এসব মসজিদে সারাদেশে প্রতিদিন ৪ লাখ ৯৪ হাজার ২০০ জন পুরুষ ও ৩১ হাজার ৪০০ জন নারী একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
[৬] এছাড়া লাইব্রেরি সুবিধার আওতায় প্রতিদিন ৩৪ হাজার পাঠক একসঙ্গে কোরআন ও ইসলামিক বই পড়তে পারবেন। ইসলামিক বিষয়ে গবেষণার সুযোগ থাকবে ৬ হাজার ৮শ’ জনের। ৫৬ হাজার মুসল্লি সবসময় দোয়া মোনাজাতসহ তাসবিহ পড়তে পারবেন।