শিরোনাম
◈ জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও সময়মতো জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিতের আহ্বান বিএনপির স্থায়ী কমিটির ◈ কমিশনের মোট ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৭১ লাখ টাকা, আপ্যায়ন বাবদ ব্যয়  ৪৫ লাখ টাকা ◈ ভার‌তের কা‌ছে পাত্তাই পে‌লো না অস্ট্রেলিয়া, ম‌্যাচ হার‌লো ৪২ রা‌নে ◈ শুল্ক চুক্তির অধীনে মা‌র্কিন উ‌ড়োজাহাজ নির্মাতা বোয়িংয়ের কাছ থেকে ২৫টি বিমান কিনছে বাংলাদেশ ◈ টিটিপাড়ায় ৬ লেনের আন্ডারপাস, গাড়ি চলাচল শুরু শিগগিরই (ভিডিও) ◈ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ বার্তা ◈ ভালোবাসার টানে মালিকের সঙ্গে ইতালি যাওয়া হলো না সেই বিড়াল ক্যান্ডির! ◈ ৬৬ পর্যবেক্ষক সংস্থা পেল নিবন্ধন, নতুন নীতিমালায় পুরনো ৯৬টির নিবন্ধন বাতিল ◈ সরকারি দায়িত্ব শেষ, পেশাগত কাজে যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যাপক আলী রীয়াজ: ফিরবেন কিছুদিন পর ◈ ৯ দল নিয়ে এনসিপির রাজনৈতিক জোটের সম্ভাবনা: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

প্রকাশিত : ০৯ জুন, ২০২১, ০২:৫৭ দুপুর
আপডেট : ০৯ জুন, ২০২১, ০২:৫৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] গরমের স্বস্তিতে কদর বেড়েছে তালের শাঁস

মমতাজুর রহমান:[২] প্রচন্ড তাপদাহে হাঁসফাঁস অবস্থায় একটু স্বস্তি পেতে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় কদর বেড়েছে তাল শাঁসের। তীব্র গরমে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। তাই গরম থেকে স্বস্তি পেতে ভিড় করে মানুষ তালের এই শাঁষ খাচ্ছেন। কারন কচি তালের শাঁস যেমন পুষ্ঠিকর তেমন প্রশান্তিদায়ক।

[৩] বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার ৬ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বিভিন্ন হাট-বাজারের মোড়ে বিক্রেতারা এখন হরদমে বিক্রি করছে তালের শাঁষ। এছাড়াও ভ্যান যোগে ভ্রাম্যমান তাল শাঁষ বিক্রেতাদের সংখ্যাও কম নয়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার প্রায় শতাধিক মৌসুমি শ্রমিক তালের শাঁষ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছে। আবার অনেক ক্রেতাই পরিবারের সদস্যদের জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন তালের শাঁস। বর্তমানে প্রতিটি তাল শাঁস ১২/১৫ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে।

[৪] সান্তাহার স্টেশন রোডে তালের শাঁস বিক্রেতা সান্দিড়া গ্রামের হাসান (৩০), রেলগেটে এলাকায় বাবুল (২৫) ও আদমদীঘি সদরে শিপলু (২৪) জানান, একটি গাছের তাল ৮শত থেকে ১ হাজার টাকায় কিনেছেন। গাছ থেকে তাল নামাতে লেগেছে ৫০০ টাকা এবং ভাড়া করে নিয়ে আসা বাবদ লেগেছে ২০০ টাকা। সান্তাহার ইউনিয়নের সান্দিড়া গ্রামের হাসান পেশায় রিকসা চালক। এই মৌসমে সে তালের শাঁস বিক্রি করছে। তিনি আঞ্চলিক ভাষায় জানালেন, ’রোদের মদ্দ্যে রিকসা চালালে জানডা বার হয়া যায়, তাই হামি এই টাইমে তালের শাঁস বেচি। আয় ভালোয় হয়।

[৫] এক দেড় মাস এই ব্যবসা চলে। এই টাইমে হাজার পনের টাকা মতো আয় হবে।’উপজেলার কয়েকটি স্থান ঘুরে দেখা যায়, সৌখিন ক্রেতা থেকে শুরু করে স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীরা প্রচন্ড গরমে একটু শান্তির পরশ পেতে ভিড় করছেন তাল শাঁস বিক্রেতাদের কাছে। গত বুধবার উপজেলার চাঁপাপুর, নশরৎপুর, আদমদীঘি, সান্তাহারের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে মৌসুমি তাল বিক্রেতারা তালের শাঁস বিক্রি করছে।

[৬] সান্তাহরের নাহার মেডিকেয়ারের মেডিসিন বিশেষঞ্জ ডাঃ হামিদুর রহমান জানান, তাল শাঁস পুষ্ঠিকর, প্রশান্তিদায়ক ও কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিঠু চন্দ্র অধীকারী জানান, চলতি মৌসুমে তালের ফলন ভাল হওয়ায় বিক্রেতারা এই মৌসুমে ব্যবসা ভাল করবে আশা করি। এই ফল স্বাস্থ্যের জন্য ভাল বলে জানি। জীববৈচিত্র্য রক্ষায় তালের গাছ বেশি বেশি করে লাগাতে হবে এবং সংরক্ষণ করতে হবে বলে আমি মনে করি।

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়